সন্তানদের জন্য বাঁচতে চান সামিউল
Published: 27th, February 2025 GMT
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন সামিউল হক বীর। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকার সামিউলের দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে সপ্তাহে ৩ তিন ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। এজন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ডায়ালাইসিস চলমান রাখার পরেও শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় সম্প্রতি চিকিৎসক কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করিয়ে এখন তার হাত শূন্য। কীভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
৪৫ বছর বয়সী সামিউলের দুই ছেলে-মেয়ে। ওরা স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি হওয়ায় আয়ের পথও দীর্ঘদিন থেকেই বন্ধ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু এত টাকা খরচ করে কিডনি প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা করানো তার পক্ষে সম্ভব না। বর্তমানে ধার-দেনা করে ডায়ালাইসিসের খরচ যোগাতে হচ্ছে। ফলে কিডনি প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা ব্যয় তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।
এমন অবস্থায় সামিউল সমাজের উচ্চবিত্ত ও দয়ালু মানুষদের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আরও কিছুদিন বাঁচতে চান, সন্তানদের মুখে হাসি ফুটাতে তার বেঁচে থাকা জরুরি। এজন্য সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন সামিউল।
ব্যাংক-
অ্যাকাউন্ট নাম: সামিউল হক বীর (Md.
অথবা
বিকাশ- ০১৭১৮১১০৭১৭ (পারসোনাল), ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪ (পারসোনাল), নগদ- ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪ (পারসোনাল), রকেট- ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪২ (পারসোনাল), উপায়- ০১৫১৮৬৮৪৭৬৪ (পারসোনাল)
বিস্তারিত জানতে-০১৭১৭২৫৫৪৫৫
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরুণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. রাব্বি মিয়া (২০) নামের এক তরুণ আহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে। গুলির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে আহত রাব্বির মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গুলিবিদ্ধ রাব্বি উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রাব্বি পরিবারের সঙ্গে নবীনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নবীনগর উপজেলার টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান (৪৮), জাহিদ মিয়া (১৯), জুবায়েদ মুন্সী (১৯), মো. আহসান উল্লাহ (৪৪) ও মো. জসিম উদ্দিন (৪৪)। তাঁরা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশিদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. সানি (২০) ও একই পাড়ার মো. জিসানের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও তর্ক হয়। একপর্যায়ে ঝগড়ার সময় সানি জিসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সালিস ডাকে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার কালীবাড়ি মোড়ের জমিদারবাড়ির মাঠে সানিসহ তাঁর লোকজন ও জিসানসহ তাঁর লোকজন সালিসে বসেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রাব্বি সানির পক্ষের সমর্থক। তবে সালিসের রায়ে সানি ও তাঁর লোকজন সম্মত হননি। সালিস ছেড়ে ওঠার সময় জিসানসহ তাঁর লোকজন সানির লোকজনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে জিসান বন্দুক বের করে গুলি করেন। এতে রাব্বি গুলিবিদ্ধ হন এবং প্রতিপক্ষের হামলায় সানি আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাব্বিকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, তরুণের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে গুলি লেগেছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।