ম্যাচ বাকি দুটি। আজ আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর ১ মার্চ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে লড়াইয়ে আছে তিনটি দল। শেষ পর্যন্ত কোন দুই দল যাবে সেমিফাইনালে?

অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা—কারা ধরবে ইংল্যান্ডের পথ আর কারা ভারত ও নিউজিল্যান্ডের? ভারত ও নিউজিল্যান্ড গ্রুপ ‘এ’ থেকে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বাকি থাকা দুই ম্যাচে কী হলে কী হবে?

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যাবে। গ্রুপের শীর্ষ স্থান নির্ধারিত হবে রান রেটের ভিত্তিতে, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা বেশি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। ধরে নেওয়া যাক, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০০ রান করে ১ রানে জিতল, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট টপকাতে ৩০০ রান করার পর ৮৭ রানে জিততে হবে।

অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড জিতলে

অস্ট্রেলিয়া ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থাকবে আর দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে।

আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে

তখন দক্ষিণ আফ্রিকা হবে শীর্ষ দল। তাদের পয়েন্ট হবে ৫। আর আফগানিস্তান ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে, ফলে অস্ট্রেলিয়া বাদ পড়বে।

আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে বাদ পড়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন ও স ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ