চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
Published: 28th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি বসতঘরে আগুনে পুড়ে আবুল হোসেন (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামের দাঁড়ালিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৃদ্ধ আবুল হোসেনের কাঁচা বসতঘরটিতে আগুন লাগে।
ঘরের দুটি কক্ষের একটিতে তাঁর স্ত্রী এবং অন্যটিতে তিনি ছিলেন। আগুন লাগার পর স্ত্রী ঘর থেকে দৌড়ে বের হতে পারলেও ঘরের ভেতর আগুনে পুড়ে আবুল হোসেনের মৃত্যু হয়। আগুন লাগার ২০ মিনিটের মধ্যেই ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আবুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, আগুন যখন লাগে তখন একটি কক্ষে আবুল হোসেন ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই আগুনে পুড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘরটিতে আবুল হোসেনের আরও দুই ছেলে থাকেন। তবে দুর্ঘটনার সময় দুজন বাড়িতে ছিলেন না।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মছিন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেন তাঁরা। এরপর লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতিকুর রহমান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।