বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল আছে ভবিষ্যতেও থাকবে: রুমিন ফারহানা
Published: 28th, February 2025 GMT
বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিল, ঐক্যবদ্ধ আছে, ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে ইনশাল্লাহ।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা কাদিরবক্স উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
রুমিন ফারহানা বলেন, ১৫ বছর আমরা শেখ হাসিনার মতো ভয়ংকর স্বৈরাচারীর সঙ্গে লড়েছি। বিএনপিতে এমন কোনো নেতাকর্মী নাই, যার বিরুদ্ধে শতশত মামলা হয় নাই। আমার বিরুদ্ধে এমন কোনো মামলা নাই, যা করা হয় নাই। আমি জানি, আমার সামনে এখানে যেসব বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আমি জানি বহু কর্মী বাড়িতে ঘুমাইতে পারে নাই, বহু কর্মী ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে নাই। ৫ আগস্টের পর অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।
তিনি বলেন, এখন দেখি যারা একসময় কর্মীদের বলতো, চুপ চুপ চুপ বিএনপির কথা অত কথা কওনের দরকার নাই। পুলিশে ধইরা লইয়া যাইব। তারা এখন নেতা হয়ে গেছে। সেই সব নেতাদের সাবধান করে দেই- সাবধান হয়ে যান। ১৫ বছর পদ আটকিয়ে কে কয়টা মিছিল করেছেন। ১৫ বছর কার কী ভূমিকা সব আমরা জানি। বাধ্য করবেন না। আমরা কোনো অনৈক্যে বিশ্বাস করি না। আমরা ১৫ বছর আমরা একসাথে ছিলাম। এখন হাসিনা পালিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন দলে বিভাজন তৈরি চেষ্টা করবে না।
দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাসিনাকে বিদায় করেছি, আমরা আওয়ামী লীগকে বিদায় করেছি। কিন্তু আমরা কী চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা এখনো চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি নাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখনো বাংলাদেশে ফিরতে পারেন নাই। দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছেন, কী অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ছিনতাই, হাইজ্যাক, রাহাজানি কোপ দিয়ে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া, দিন-দুপুরে বাড়িতে বাড়িতে ডাকাতি। ঢাকা শহরের এটা এখন প্রতিদিনের ঘটনা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র ১৫ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট নগরে প্যাডেলচালিত রিকশা ভাড়া ন্যূনতম ২০, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা
সিলেট নগরে প্যাডেলচালিত রিকশার ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে মহানগর পুলিশ। তালিকা অনুযায়ী ন্যূনতম ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন ভাড়া ২০২৭ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আজ সোমবার সকালে মহানগর পুলিশের কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যাতায়াতের জন্য নতুন করে প্রস্তাবিত রিকশা ভাড়ার হার নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাড়ার তালিকা প্রণয়নের সময় নগরের রাজনীতিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী, প্যাডেল রিকশা সমিতি, সাধারণ জনগণের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ প্যাডেলচালিত রিকশা ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করেছিল। তবে ওই ভাড়া তালিকা শুরু থেকে মেনে নেননি রিকশাচালকেরা। এর ১০ বছর পর পুলিশের পক্ষ থেকে রিকশা ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুনর্নির্ধারিত প্রস্তাবিত ভাড়া তালিকায় দেখা গেছে জিন্দাবাজার মোড় (পয়েন্ট) থেকে লামাবাজার, মিরাবাজার, আম্বরখানা, ভাতালিয়া পর্যন্ত ৩০ টাকা। সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, ঈদগাহ, শেখঘাট পর্যন্ত ৪০ টাকা। শিবগঞ্জ, ওসমানী মেডিকেল পর্যন্ত ৫০ টাকা। বালুচর, টিলাগড়, বাগবাড়ি, চৌকিদেখি, পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট পর্যন্ত ৬০ টাকা।
কোর্ট পয়েন্ট থেকে টিলাগড় পর্যন্ত ৬০ টাকা। শিবগঞ্জ, নতুন ব্রিজ ৪০ টাকা। মিরাবাজার ও যতরপুর ৩০ টাকা। উপশহর (এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি, এইচ, আই, জে, কে ব্লক) ৫০ টাকা। নতুন ব্রিজ হয়ে দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনাল ৭০ টাকা। রেলওয়ে স্টেশন, গোপশহর মকন দোকান, গোয়াবাড়ি, আখালিয়া বিজিবি ক্যাম্প গেট, ভাঙ্গাটিকর, টুলটিকর, মিরাপাড়া পর্যন্ত ৮০ টাকা। ঝেরঝেরিপাড়া, শিবগঞ্জ সোনাপাড়া, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, উত্তর কাজীটুলা, গোয়াইটুলা, আম্বরখানা, মাহিমপুর, দর্শন দেউরী, সুবিদবাজার, ভাতালিয়া, ওসমানী মেডিকেল, কুমারপাড়া (ঝরনারপাড়) ৫০ টাকা। দর্জিবন্দ, শাহী ঈদগাহ, লেচুবাগান, হাউজিং এস্টেট, লন্ডনী রোড ও পাঠানটুলা, বাগবাড়ি, বর্ণমালা পয়েন্ট, এতিম স্কুল, নবাব রোড (শেখঘাট পিচের মুখ, কলাপাড়া ডহর), ঘাসিটুলা বেতেরবাজার, আম্বরখানা, কলবাখানী, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর ৫০ টাকা। জল্লারপাড়, তোপখানা ২০ টাকা।
এ ছাড়া কোর্ট পয়েন্ট থেকে নতুন ব্রিজ হয়ে কদমতলী, লাউয়াই, বিসিক শিল্পনগরী, বরইকান্দি, চৌকিদেখি, লাক্কাতুরা, শাপলাবাগ ৭০ টাকা। কাজীটুলা, রাজারগলি, শাহজালাল দরগাহ গেট, মিরের ময়দান, শেখঘাট, রিকাবীবাজার, দাড়িয়াপাড়া, মির্জাজাঙ্গাল, পশ্চিম কাজিরবাজার, ছড়ারপার, কুমারপাড়া পয়েন্ট, মিরাবাজার আগপাড়া, সোবহানীঘাট, চালিবন্দর ৩০ টাকা। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গেট ৯০ টাকা। কুমারগাঁও বাস টার্মিনাল ১০০ টাকা। খোজারখোলা, সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস, বালুচর, বাদাম বাগিচা, মদিনা মার্কেট, কানিশাইল খেয়াঘাট, পীর মহল্লা কুশিঘাট ৬০ টাকা।
আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সুবিদবাজার, শাহী ঈদগাহ, কাজীটুলা ২০ টাকা। মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, চৌকিদেখি ৩০ টাকা। লাক্কাতুরা, মিরাবাজার, নয়াসড়ক ৪০ টাকা। শিবগঞ্জ ৬০ টাকা। টিলাগড়, উপশহর (এবিসি পয়েন্ট), নতুন ব্রিজ ৬০ টাকা।
শিবগঞ্জ পয়েন্ট থেকে টিলাগড়, সেনপাড়া, খরাদিপাড়া ২০ টাকা। নতুন ব্রিজ, বালুচর ৩০ টাকা। ঈদগাহ ৫০ টাকা। আম্বরখানা, লামাবাজার, শেখঘাট ৬০ টাকা। পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট, ওসমানী মেডিকেল, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, শেখঘাট, সুবিদবাজার ৭০ টাকা এবং কদমতলী বাস টার্মিনাল ৮০ টাকা।
দক্ষিণ সুরমা কিনব্রিজ থেকে রেলগেট ২০ টাকা। হুমায়ুন রশীদ চত্বর, টেকনিক্যাল, পর্যন্ত লাউয়াই ৩০ টাকা। শিববাড়ি ও গোটাটিকর পর্যন্ত ৪০ টাকা। বরইকান্দি ও আলমপুর পর্যন্ত ৫০ টাকা এবং মকন দোকান পর্যন্ত ৭০ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত রুটের বাইরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ গজের জন্য অতিরিক্ত ১০ টাকা ভাড়া প্রযোজ্য হবে। তবে নির্ধারিত রুটে উল্লিখিত নয় এমন নিকটবর্তী গন্তব্যে যাত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।