চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. আব্দুল মান্নান (৬০ ) নামে এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাদী হয়ে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত ইমাম চাঁদপুর সদর উপজেলার মান্দারি গ্রামের বাসিন্দা। আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন উপজেলার ফাঞ্জাখানা মসজিদে ইমামের দায়িত্বে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে স্কুলছাত্রীকে দিয়ে ইমাম আব্দুল মান্নান মসজিদ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ইমাম তাকে মসজিদের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে ইমাম সাহেব তাকে ছেড়ে দেন। শিশুটি তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়। মামলার পর পুলিশ আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, ইমাম আব্দুল মান্নানকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পরীক্ষা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ