ঈদ উৎসবকে আরও জমজমাট করে তুলতে করতে বাটা নিয়ে এসেছে নতুন ‘স্টারলাইট’ কালেকশন।  ক্ল্যাসিক ও আধুনিক ডিজাইনের এই জুতাগুলো ঈদের আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে। 

নারীদের জন্য রয়েছে ক্রিস্টাল ট্রেন্ডিং হিল থেকে শুরু করে আধুনিক আপারের আরামদায়ক স্যান্ডেল। পাশাপাশি, পুরুষদের জন্যও থাকছে নানা রকমের ড্রেস শু, মোকাসিন, সামার স্যান্ডেল ও গরমকালের উপযোগী অন্যান্য ফ্যাশনেবল জুতো। শিশুদের জন্যও থাকছে বিশেষ কালেকশন। 
বাটা কতৃপক্ষ জানিয়েছে, সবার সাধ্যের মধ্যেই জুতার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরুষদের জুতার দাম থাকছে ৪৯৯ টাকা থেকে ১৬,৯৯৯ টাকার মধ্যে, নারীদের জুতার দাম ৪৯৯ টাকা থেকে ৫,৯৯৯ টাকার মধ্যে, এবং শিশুদের জুতার দাম থাকছে মাত্র ৪৯৯ টাকা থেকে ৩,৯৯৯ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ও মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ক্যাশব্যাক ও কুপন সুবিধাও দিচ্ছে বাটা।

আড়াই হাজারের বেশি ডিজাইনের জুতোর পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে আরো ১ হাজারেরও বেশি নতুন ডিজাইনের জুতো যোগ হয়েছে বাটার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। দেশজুড়ে বাটার ২৫০ এর বেশি আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে স্টারলাইটের এই কালেকশন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র জন য ক ল কশন

এছাড়াও পড়ুন:

নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে আওয়ামী দোসর সামাদ ও রনি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় পার্টনার না রাখায় স্বাদ রেস্তোরাঁ নামক একটি রেস্টুরেন্টে  তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১লা ডিসেম্বর) নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের এসওরোড এলাকার ডিপো টার্মিনালে অবস্থিত রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সহযোগী সামাদ ও তার ছেলে আহাদ, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ মন্ডলের ছেলে জাহিদের সমন্ধী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রনি ওরফে বাইট্টা রনি ও তাঁদের শেল্টারদাতা যুবদলের নেতা সুপারি কামাল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেস্তোরাঁর পরিচালকগণ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

রেস্তোরাঁর মালিক আলহাজ্ব বাচ্চু মিয়া জানান, সকল নিয়ম মেনে গত পহেলা ডিসেম্বর থেকে আমি রেস্টুরেন্টটি নুরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেই। পহেলা ডিসেম্বর রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধনের সময় সামাদের নির্দেশে সামাদের ছেলে আহাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রনি ও সুপারি কামালের নেতৃত্বে একশ থেকে দেড়শো জনের বাহিনী এসে জোরপূর্বক রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি বিনা পুঁজিতে তাঁদের রেস্তোরাঁয় পার্টনার রাখতে হবে। অন্যথায় তারা রেস্টুরেন্ট খুলতে দিবে না। এবিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ অবহিত হলে অভিযুক্তরা ভয়ে তালা খুলে দেন। পরে দুইদিন পর আবার সামাদের ছেলে আহাদ ও রনি ১৫/২০ জন লোক নিয়ে  রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। এবিষয়ে রেস্তোরাঁর মালিক জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এদিকে স্থানীয়রা জানান, শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলার আসামি সামাদ ও তার ছেলে আহাদ গত ০৫ আগষ্টের পর ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যান। আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেন সচেতন নাগরিক সমাজ নামের কমিটি। এ কমিটির নামে গোদনাইল মেঘনা ডিপো নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ সহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন সামাদ ও তার ছেলে। চলতি বছরের ১লা মার্চ গোদনাইল মেঘনা ডিপোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সামাদ বাহিনী। আর এতে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা আসিফের বাবা মুখলেস সহ ০৪ জন। তাঁদের এসব অপকর্ম নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এলাকায় খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন রনি ওরফে বাইট্টা রনির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল বারিক পিপিএমবার  বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ