‘বাটা’র স্টারলাইট কালেকশনের সঙ্গে জমজমাট ঈদ উদযাপন
Published: 2nd, March 2025 GMT
ঈদ উৎসবকে আরও জমজমাট করে তুলতে করতে বাটা নিয়ে এসেছে নতুন ‘স্টারলাইট’ কালেকশন। ক্ল্যাসিক ও আধুনিক ডিজাইনের এই জুতাগুলো ঈদের আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
নারীদের জন্য রয়েছে ক্রিস্টাল ট্রেন্ডিং হিল থেকে শুরু করে আধুনিক আপারের আরামদায়ক স্যান্ডেল। পাশাপাশি, পুরুষদের জন্যও থাকছে নানা রকমের ড্রেস শু, মোকাসিন, সামার স্যান্ডেল ও গরমকালের উপযোগী অন্যান্য ফ্যাশনেবল জুতো। শিশুদের জন্যও থাকছে বিশেষ কালেকশন।
বাটা কতৃপক্ষ জানিয়েছে, সবার সাধ্যের মধ্যেই জুতার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরুষদের জুতার দাম থাকছে ৪৯৯ টাকা থেকে ১৬,৯৯৯ টাকার মধ্যে, নারীদের জুতার দাম ৪৯৯ টাকা থেকে ৫,৯৯৯ টাকার মধ্যে, এবং শিশুদের জুতার দাম থাকছে মাত্র ৪৯৯ টাকা থেকে ৩,৯৯৯ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ও মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ক্যাশব্যাক ও কুপন সুবিধাও দিচ্ছে বাটা।
আড়াই হাজারের বেশি ডিজাইনের জুতোর পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে আরো ১ হাজারেরও বেশি নতুন ডিজাইনের জুতো যোগ হয়েছে বাটার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। দেশজুড়ে বাটার ২৫০ এর বেশি আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে স্টারলাইটের এই কালেকশন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল