এ প্লাসে শুধুই তাসকিন, রিয়াদকে রেখেই কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাব
Published: 5th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় দলে বর্তমানে তিন ফরম্যাটের অবধারিত নাম তাসকিন আহমেদ। ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন তিনি। দলের প্রতি একাগ্রতা বা পরিশ্রম নিয়ে প্রশ্ন নেই। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারও বটে। শুধু ওই তাসকিনকে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে রেখে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিসিবি পরিচালকদের সভা ছিল। ওই সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাবিত খসড়া পেশ করা হয়। সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, খসড়া তালিকায় নাম আছে টেস্ট ও টি-২০ থেকে অবসর নেওয়া এবং ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাওয়া ৩৯ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
এছাড়া খসড়া কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তরুণ পেসার নাহিদ রানা, বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, টেস্ট ব্যাটার সাদমান ইসলাম জায়গা পেয়েছেন। তবে জাকির হাসান ও মাহমুদল হাসান জয় নেই তালিকায়। ঢুকেছেন জাতীয় দলে নিয়মিত হয়ে ওঠা লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন।
পূর্বে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্যাটাগরি পদ্ধতি ছিল। তিন ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটাররা এক ধরনের বেতন পেতেন। শুধু সাদা বলে খেলা ক্রিকেটারদের গ্রেডিং পদ্ধতি ছিল আলাদা। আবার যারা শুধু এক ফরম্যাট খেলেন তাদের বেতন কাঠামো ছিল ভিন্ন। এবার ‘এ প্লাস’, ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী খসড়া কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
সর্বশেষ বোর্ড সভা শেষে, বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম জাতীয় দলের অভিজ্ঞ মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাদের পারফর্ম করতে হবে বলে উল্লেখ করেছিলেন। মুশফিক ও রিয়াদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নিয়ে বোর্ডে বিতর্ক আছে। ক্রিজবাজ দাবি করেছে, ওই কারণে এখনো অনুমোদন হয়নি প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা।
বিসিবির প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা:
এ প্লাস: তাসকিন আহমেদ
এ: নাজমুল শান্ত, মেহেদী মিরাজ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম।
বি: মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা।
সি: সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলী, তানজিদ তামিম, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, শেখ মাহেদী।
ডি: নাসুম আহমেদ, খালেদ আহমেদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফরম য ট আহম দ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।