ঢাকার ধামরাইয়ে আজ বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর একান্ত সচিব (পিএস) মো. মনোয়ার হোসেনকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংশ্লিষ্ট একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি ২০০৯-১০ সালে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর পিএস ছিলেন।

আজ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মনোয়ার হোসেনকে আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদাবর থানা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনোয়ার হোসেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আদাবরে মনির হোসেন হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন আসামি। মনির হোসেন গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলাটি করেছিলেন।

মনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। আরও বলা হয়, তিনি গত সংসদ নির্বাচনে ধামরাই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি ২০০৯-১০ সালে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর পিএস ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন য় র হ স ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ