কৃষকদলের কমিটিতে আ.লীগ নেতা, প্রতিবাদে ১০ জনের পদত্যাগ
Published: 5th, March 2025 GMT
বিগত সময়ে তারা ছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী। পট পরিবর্তনের পর হয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন পদের নেতা। সম্প্রতি পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এমন অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (০৫ মার্চ) কৃষকদলের নবঘোষিত কমিটি থেকে ১০ জন পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে তারা নতুন করে ত্যাগী কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কৃষকদলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে উপজেলা কৃষকদল। কমিটিতে সভাপতি পদে ওই ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বাবু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নটাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মোমিন ও প্রচার সম্পাদক পদে দোদারিয়া গ্রামের আলহাজ হোসেনের নাম রয়েছে।
আরো পড়ুন:
হাওরে কাঁচা মরিচ চাষে লোকসানের মুখে চাষিরা
চরাঞ্চলের ভাগ্য বদলাবে বাকৃবি উদ্ভাবিত নতুন তিন পদ্ধতি
বিলচলন ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আফছার আলী ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সভাপতি নজরুল ইসলামের বাড়িতে নৌকার অফিস ছিল। বিগত ১৬ বছরে তারা কোনোদিন বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি। তারা সবসময় আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন।
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগের দমন পীড়নে রাজপথে আন্দোলনে থাকা ত্যাগী কর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার বিলচলন ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলামিন শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি ও নেতারা কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের জন্য পাবনা জেলা কৃষক দলের সভাপতি এবং সম্পাদকসহ উপজেলা কৃষকদলের নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ কর্মীদের দিয়ে কৃষকদলের কমিটি গঠন করায় গঠিত নবঘোষিত কমিটির ১০ জন পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (৫ মার্চ) তারা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন জেলা ও উপজেলা কৃষকদল কমিটির কাছে।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জনি হোসেন, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মহসিন আলী, সহ দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, সহ শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক অলিফ হোসেন, সহ যোগাযোগ সম্পাদক মিনারুল ইসলাম, সদস্য আমিরুল ইসলাম ও আক্কাস আলী।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নতুন কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম না। আমি ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল করেছি। আমি আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, এখনো আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো। আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে। তারা প্রমাণ করুক আমি আওয়ামী লীগ করি।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযোগ সত্য নয়। কমিটিতে না আসতে পেরে হয়ত তারা এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। তারা যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নজর ল ইসল ম র ল ইসল ম য গ কর ছ ব এনপ র পদত য গ কর ছ ন ন কম ট কম ট র গঠন র উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে প্রার্থী হবেন কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলেন ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. শরিফুল ইসলাম মোল্লা। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান, এই এলাকায় আমার জন্ম। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে আমাদের সন্তানদের জন্ম এই ফতুল্লা এলাকায়। ফতুল্লার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে আমাদের জীবন।
এই এলাকা আমাদের খুবই আপন সেই ১৯৮৮ সাল থেকে অত্র এলাকার সকল গ্রাম ও গঞ্জে আমি বিচরণ করেছি বিএনপি করায় কারনে। এই এলাকার বিএনপি নেতা থেকে শুধু করে সাধারণ জনগণ সবাই আমরা একই পরিবারের লোক।
তাই নতুন করে চিন্তা আমাদের করতে হচ্ছে আগামী দিনে আমরা ফতুল্লার সংসদ সদস্য ফতুল্লার সন্তানকে নির্বাচিত করব। কারন আমরা দেখেছি অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অন্য এলাকার অথবা অন্য জেলার নেতাকে এমপি নির্বাচিত করে ফতুল্লাবাসী সবসময় অবহেলিত।
ফতুল্লার উন্নয়নের জন্য ফতুল্লার সন্তান এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ফতুল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। এবার সুযোগ এসেছে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। অতএব ফতুল্লার সন্তান হিসেবে আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি। আমি মেড ইন ফতুল্লা, মেড বাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শরিফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালে কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক এ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৮৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হই।
১৯৮১ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা খানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রি মীর শওকত আলী, জনাব মির্জা আব্বাস, জনাব ফজলুল হক মিলন সহ অন্যানা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯০এর গন আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি এবং ফতুয়া বানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদে নামি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পথে নির্বাচন করি। ১৯৯৩ সালে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৪ সাল নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৮ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই (মাহবুবুল আলম ভারা শামসুজ্জামান দুদু কমিটি) (মির্জা ফখবুল ইসলাম শামসুজ্জামান দুদু কমিটি)। ২০০২ সালে পুনরায় জেলা কৃষক দলের সম্মেলনের মাধ্যমে ২য় বার সাধারণ সম্পাদক এবং ফতুল্লা দানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০২১ সালের অক্টোবরে ২য় বারের মত নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি (কাজী মনিরুজ্জামান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কমিটি)। ২০২১ সালে কৃষক দলের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব। ২০২২ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং প্রচার উপ-কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। এবং বর্তমানে কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম সহ-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনাদের দোয়ায় বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আমি আপনাদের মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগণের নিকট আকুল আবেদন আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে অত্র এলাকার উন্নয়নের সুযোগ দিবেন।