Samakal:
2025-09-18@04:05:41 GMT

ন্যায্যতা ও সমতার লড়াই

Published: 7th, March 2025 GMT

ন্যায্যতা ও সমতার লড়াই

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন/ নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করে, যা বিশ্বব্যাপী নারী ও কন্যার জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানায়। এই প্রতিপাদ্য শুধু নারীর অধিকারের প্রতি সমর্থনই নয়; বরং একটি বৈষম্যহীন, সমতাভিত্তিক ও ন্যায়সংগত সমাজ গঠনের দিকে অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রতিপাদ্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, কারণ এদেশ জেন্ডার সমতা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করলেও নারীরা এখনও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এর ফলে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্য অব্যাহত রয়েছে, যা তাদের ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকারের পথে বড় বাধা। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশ নারীর রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী দেশগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘ তিন দশক ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নারী, যা বৈশ্বিকভাবে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি (২০১১) এবং পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন (২০১০) নারীর সুরক্ষা ও অধিকারের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। তবে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। নারীরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করলেও, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তাদের। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নারীর প্রতিনিধিত্ব এখনও সীমিত এবং নারী নেতৃত্বের বিকাশে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা বিদ্যমান।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় নারীরা আন্দোলন, নীতিগত আলোচনা এবং তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত হওয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা সহিংসতা ও হুমকির মুখেও গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছে। জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ একটি স্বৈরাচারী সরকার অপসারিত হওয়ার পর নারীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক অংশগ্রহণের সুযোগ বেড়ে গেছে। তবে নারীর স্বাধীন চলাফেরা ও জনপরিসরে অবস্থান এখনও হুমকির সম্মুখীন। রাজনৈতিক নেতৃত্বে নারীকে গ্রহণ করার মানসিকতা এখনও সমাজে অনুপস্থিত। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পথ সুগম করা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা দিচ্ছে।
বাংলাদেশে নারীরা এখনও ব্যাপকভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। বিবিএস এবং ইউএন উইমেন পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, সবচেয়ে প্রচলিত সহিংসতার ধরন হলো পারিবারিক সহিংসতা। এছাড়া ধর্ষণ, বাল্যবিয়ে এবং কর্মস্থলে হয়রানির হারও উদ্বেগজনক। নারীর সুরক্ষার জন্য বিদ্যমান আইনগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর জন্য সুরক্ষা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন থাকলেও তাদের নীতিনির্ধারণী ক্ষমতা সীমিত। স্থানীয় সরকারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। নারীর রাজনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। পাশাপাশি রাজনৈতিক শিক্ষা প্রদান এবং নেতৃত্ব বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন গোটা সমাজের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, যেখানে নারীরা বিশেষভাবে বেশি প্রভাবিত হয়। উপকূলীয় ও নদীভাঙনপ্রবণ অঞ্চলে বসবাসকারী নারীর বাসস্থান হারানো, জীবিকা সংকট এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবারের জন্য খাদ্য, পানি ও জ্বালানির সংস্থান করতে গিয়ে নারীরা অতিরিক্ত চাপের মুখোমুখি হয়। তবে, নারীরা এই সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় পর্যায়ে তারা কৃষি, মাছ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব জীবিকা গড়ে তুলছে। কিন্তু তাদের এই অবদান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পর্যাপ্ত স্বীকৃতি পাচ্ছে না। জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের জন্য বিশেষ সহায়তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। নারী নেতৃত্বাধীন জলবায়ু অভিযোজন প্রকল্পগুলোর সম্প্রসারণ প্রয়োজন, যাতে তারা এই সংকট মোকাবিলায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত নীতিমালায় সমতা ও ন্যায্যতাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলা, নারীর জন্য বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করা এবং অভিযোজন কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণভাবে সম্পৃক্ত করা গেলে তা কেবল তাদের ক্ষমতায়নই নয়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সামগ্রিক সাফল্যও নিশ্চিত করবে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক বাজেটিং অপরিহার্য। 

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও তারা এখনও বৈষম্যের শিকার। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাতে নারীরা কম মজুরি, অনিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ থাকা দরকার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে নারীর জন্য পৃথক তহবিল গঠন করা উচিত। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তার জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা, প্রশিক্ষণ ও বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করতে হবে। নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সমান কাজের জন্য সমান মজুরি নিশ্চিত করতে হবে। নারীকে কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ ও সম্মান দেওয়া হলে, তা শুধু নারীর ক্ষমতায়নই নয় বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত নারীরা সমাজ পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে আসছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী নারী, কৃষি ও উদ্যোক্তা খাতে কর্মরত নারীরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নারীর নেতৃত্ব ও সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথ সুগম করা সম্ভব।
নারীর অধিকার সংরক্ষণে পরিবার ও সমাজের মনোভাব পরিবর্তন জরুরি। স্কুল পর্যায়ে জেন্ডার সমতাবিষয়ক পাঠ্যক্রম চালু করা এবং গণমাধ্যমের দ্বারা নারীবান্ধব সচেতনতা বাড়ানো দরকার। নারীর শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের পথ সুগম করা সম্ভব।
নারীকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে, যাতে তারা তথ্য ও সেবা সহজে পেতে পারে। ডিজিটাল মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে অনলাইন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নারীর ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে, যদি তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ নারীর অগ্রগতিতে অনেক দূর এগিয়েছে, কিন্তু ন্যায্যতা ও সমতার লড়াই এখনও অসমাপ্ত। ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে একটি ন্যায়সংগত সমাজ গঠনের জন্য, যেখানে প্রত্যেক নারী সমান মর্যাদায় ও নিরাপত্তায় জীবনযাপন করতে পারবে। 

লেখক

নির্বাহী পরিচালক
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ক ষমত য ন ন শ চ ত কর র র জন ত ক ন র জন য র জন য স ন য য যত র র জন য ব যবস থ পর য য ক ত কর গ রহণ জলব য

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত