নামমাত্র খরচে মিলছে ব্যয়বহুল চিকিৎসা, শোনার অনুভূতি পাচ্ছে বধির শিশুরা
Published: 8th, March 2025 GMT
এক দশক আগেও দেশে বধিরতায় ভোগা মানুষের জন্য ‘কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট’ চিকিৎসা প্রচলিত ছিল না। অনেকে তখন বিদেশে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকায় এ চিকিৎসা করাতেন। এখন অবশ্য দেশেই ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় তা সম্ভব। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশের আটটি হাসপাতালে নামমাত্র টাকায় এ চিকিৎসা করা যাচ্ছে।
সিলেটে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট চিকিৎসা করা হয় এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ২০২২ সালের ২৫ মে থেকে সিলেটে এ চিকিৎসা শুরু হয়। এর ফলে সিলেটের সম্পূর্ণ শ্রবণপ্রতিবন্ধী বা জন্মগত মূক ও বধির শিশুরা এখন কানেও শুনছে, কথাও বলছে। গত বুধবার হাসপাতালে শততম শিশু হিসেবে তিন বছর সাত মাস বয়সী মুনতাহার কানে ইমপ্ল্যান্ট অস্ত্রোপচার করা হয়।
হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান নূরুল হুদা নাঈম প্রথম আলোকে বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে একটি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন চিকিৎসাপদ্ধতি। দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুর কানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস লাগিয়ে এ চিকিৎসা করে থাকেন।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ২ হাজার ৬০০ শিশু বধির হয়ে জন্ম নেয় উল্লেখ করে চিকিৎসক নূরুল হুদা আরও বলেন, সিলেটে এই চিকিৎসাব্যবস্থা চালু হওয়ায় জন্ম থেকে কানে না শোনা এবং কথা বলতে না পারা শিশুদের চিকিৎসায় একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমপ ল য ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়াতে আক্রান্ত শিশু আরহাম
সাত মাস বয়সী শিশু আবদুল্লাহ আল আরহাম বিরল ও জটিল রোগ বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়াতে আক্রান্ত। শিশুটি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক পিজি) চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এ রোগের কারণে আরহামের পেট প্রতিদিন ফুলে যায় ও পেট থেকে পানি বের করতে হয়। পাশাপাশি তাকে রক্তের অন্যতম প্রোটিন অ্যালবুমিন দিতে হয়, যা ব্যয়বহুল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এ রোগের কারণে আরহামের লিভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। তবে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছে না শিশুটির পরিবার।
আরহামের বাবা মো. আরিফ হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক বিভাগের কর্মচারী। গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর মাদ্রাজ গ্রামে। কর্মসূত্রে তিনি পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়ায় থাকেন।
আরহামকে সাহায্য পাঠাতে—মো. আরিফ হোসেন, হিসাব নম্বর: ০৬৫০৩১০০৬৩৮০৫, রাউটিং নম্বর: ১৪৫৬৭২৮৬৯, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মেঘনা শাখা, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ। (বিকাশ–নগদ–রকেট) 01850770281।