ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, অভিযুক্ত বললেন, ‘‘শয়তানের ধোঁকা’’
Published: 9th, March 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আবদুল মালেক (২২) নামে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) রাতে উপজেলার মাওনা উত্তর পাড়া ডেকু কারখানাসংলগ্ন ‘বাগে জান্নাত হাফেজিয়া মাদ্রাসা’ থেকে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দেন। পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযুক্ত আবদুল মালেক নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা গ্রামের মাতাব উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে, ভু্ক্তভোগীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে। সে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাদ্রাসায় আট বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আবদুল মালেক। এরপর থেকে শিশুটি মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। পরে শিশুটি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এদিন পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন আবদুল মালেককে আটক করে জেরা করেন। একপর্যায়ে মালেক ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে আবদুল মালেকের ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার বলে আবদুল মালেক বলেন, ‘‘আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করে ফেলেছি। এমন কাজ আমি আর কখনো করিনি। তাকে খারাপ কাজ করিনি।’’
এ প্রসঙ্গে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘‘মাদ্রাসার ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা মামলা করেছেন।’’
রফিক//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আবদ ল ম ল ক
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।