গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আবদুল মালেক (২২) নামে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৮ মার্চ) রাতে উপজেলার মাওনা উত্তর পাড়া ডেকু কারখানাসংলগ্ন ‘বাগে জান্নাত হাফেজিয়া মাদ্রাসা’ থেকে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দেন। পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

অভিযুক্ত আবদুল মালেক নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা গ্রামের মাতাব উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে, ভু্ক্তভোগীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে। সে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাদ্রাসায় আট বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আবদুল মালেক। এরপর থেকে শিশুটি মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। পরে শিশুটি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এদিন পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন আবদুল মালেককে আটক করে জেরা করেন। একপর্যায়ে মালেক ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে আবদুল মালেকের ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার বলে আবদুল মালেক বলেন, ‘‘আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করে ফেলেছি। এমন কাজ আমি আর কখনো করিনি। তাকে খারাপ কাজ করিনি।’’

এ প্রসঙ্গে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘‘মাদ্রাসার ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা মামলা করেছেন।’’

রফিক//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আবদ ল ম ল ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ