ঢাকার সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারী কনস্টেবলকে স্থানীয় বিএনপি নেতার গাড়ি চালক রড দিয়ে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সাভার পৌর এলাকার থানা বাসস্ট্যান্ডে ঘটনাটি ঘটে।

নির্যাতনের শিকার নারী কনস্টেবলের নাম ইতি খানম। তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি সাভার থানা কোয়ার্টারে থাকেন।

আরো পড়ুন:

যুবদল নেতাকে পেটালেন জিয়া পরিষদ ও প্রজন্ম দলের নেতাকর্মীরা

বাসচালককে পেটানোর অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে, মহাসড়কে বিক্ষোভ

ইতি খানম বলেন, “আজ বিকেল থেকে আমার ডিউটি ছিল। কালিয়াকৈর থানায় যাওয়ার জন্য আমি সাদা পোশাকে সাভার থানার সামনে থেকে একটি রিকশায় থানা বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলাম। আমার রিকশা বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের খুব কাছাকাছি চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ির চালক উত্তেজিত হয়ে বকাবকি করতে থাকেন। আমি তার আচরণের প্রতিবাদ করি এবং নিজের পরিচয় দেই। পরিচয় দেওয়ার পরপরই ওই চালক রড হাতে গাড়ি থেকে নেমে আমাকে মারতে থাকেন। রডের আঘাতে আমার দুই পা জখম হয়। পরে আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ওই চালক গাড়ি নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সাভার থানায় লিখিত অভিযোগ করি।”

ইতি বলেন, “শুনেছি, গাড়ির চালকের নাম সোহেল বাবু। তিনি সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠিক সম্পাদক আহসান উল্লাহর গাড়ি চালান।”

সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ বলেন, “ঘটনার সময় আমি গাড়িতে ছিলাম না। জানার পর ড্রাইভারকে ডেকে  শাসিয়েছি। থানা থেকে আমাকে ফোন দিয়েছিল। থানায় গিয়ে দেখি কি বলে।”

সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল রানা বলেন, “নারী কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতার গাড়ি চালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।”

জানতে চাইলে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর বলেন, “আমরা ঘটনাটি শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ব এনপ অভ য গ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ