ভুট্টা ক্ষেতে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ
Published: 10th, March 2025 GMT
নাটোর সদরের বড় হরিশপুর ইউনিয়নের নারায়ণকান্দি এলাকার ভেদরার বিল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ওই এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবর পেয়ে আজ সকালে শহরতলীর নারায়ণকান্দি এলাকার ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে থেকে ওই অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পর এবং মামলা দায়েরের পর তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ ল শ উদ ধ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক
একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।
যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষকচৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।
যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।
তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।
দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী