Prothomalo:
2025-11-03@05:32:41 GMT

রমজানে ৬টি অভ্যাস

Published: 10th, March 2025 GMT

রোজার মাসে তো বটেই, বছরজুড়ে এই অভ্যাসগুলো থাকা ভালো। এবারের রমজানে কী করবেন, তার একটা ধারণা দেওয়া হলো।

১. প্রতিদিন কোরআন পড়া: রমজানের মাসজুড়েই অল্প অল্প করে কোরআন পড়তে হবে। যদি নিয়ত থাকে খতম দেওয়ার, তাহলে প্রতি ওয়াক্তে পাঁচ পৃষ্ঠা করে পড়া যায়। তাহলে প্রতিদিন ২৫ পৃষ্ঠা এবং মাস শেষ হওয়ার আগেই একটি খতম হয়ে যাবে।

২.

তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া: রোজার মাসে ঘুমাতে দেরি হয়। আবার সাহ্‌রির সময়ও দেখা যায় অনেকে আগে আগে ওঠেন। এ সময়টা কাজে লাগানো যায়। ফজরের আগমুহূর্তটা দোয়া কবুলের সময়। এ সময় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়। শুরুতে ২ রাকাত, ৪ রাকাত নামাজ দিয়েই শুরু করা যায়।

৩. সুন্নত ও নফল নামাজে যত্নশীল হওয়া: প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের আগে বা পরের বেশ কিছু সুন্নত নামাজ রয়েছে। সারা বছর বিভিন্ন ব্যস্ততা বা অলসতার কারণে নিয়মিত এগুলো করা হয় না। এবারের রমজানে কোনো ওয়াক্তেই সুন্নত বা নফল নামাজ যেন বাদ না পড়ে।

আরও পড়ুনরমজানের সাহ্‌রি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

৪. নামাজ শেষে জিকির করা: ফরজ নামাজ শেষে কিছু দোয়া ও জিকির আছে। জিন শয়তান থেকে নিরাপত্তা, কাজে ও কর্মে, রিজিকে বরকত লাভ—ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই আমলগুলো বেশি কার্যকরী। প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগে এগুলো করতে। এগুলো নিয়মিত করা যেতে পারে।

৫. সকাল-সন্ধ্যার জিকির করা: আল্লাহর রাসুল (সা.) সকাল–সন্ধ্যার কিছু জিকির শিখিয়ে গেছেন, যেগুলো অনেক ফজিলতপূর্ণ। রোজার মাসে এগুলো অভ্যাসে পরিণত করা যায়। হিসনুল মুসলিম বা দোয়ার বইতে পাওয়া যাবে।

৬. ইশরাক বা সালাতুদ দোয়া পড়া: সালাতুদ দোয়া হচ্ছে দেহের প্রতিটি হাড় জোড়ার সদকা। (মুসলিম, ৭২০) এই নামাজের সময় বেলা ওঠার ১৫ মিনিট পর থেকে দ্বিপ্রহরের ৫ মিনিট আগপর্যন্ত। সর্বনিম্ন রাকাতসংখ্যা দুই রাকাত থেকে নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী বেশিও পড়া যায়।

আরও পড়ুনরোজার প্রস্তুতি যেভাবে নেবেন১২ মার্চ ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ