কোথা থেকে করব শুরু আর কোথায় গিয়েই বা শেষ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এই নামটাই যে এক রেশ। বয়স যে এই পর্তুগিজ মহাতারকার জন্য কোনো সমস্যায় না।  ৪০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ফুড়িয়ে যাওয়ার কোন সংকেতই দিচ্ছেন না। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে সোমবার (১০ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে তিনি গোল করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, এরপর তো বলাই যায় যৌবনের রোনালদোর চেয়ে বুড়িয়ে যাওয়া রোনালদোই গোল করার সক্ষমতা বেশি রাখেন।

এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগটা ইরানি ক্লাব এস্তেগলালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল আল নাসর। সেই ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন না সৌদি ক্লাবটির সবচেয়ে বড় তারকা রোনালদো। তবে গত রাতে ঘরের মাঠ আল আওয়াল পার্কে এস্তেগলালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। ম্যাচে একটা গোল করেছেন রোনালদো। অন্য দুটি গোল করেছেন এই শীতকালীন দলবদলে আল নাসরে যোগ দেওয়া কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড জন ডুরান।

নাসরের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ডুরান। ম্যাচের নবম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন এই কলম্বিয়ান। ম্যাচের ২৭ মিনিটে রোনালদো পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরশিটে নাম লেখান। বিরতির আগে আর কোন গোল হয়নি। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ডুরান এস্তেগলালের কফাইন শেষ পেরাকটি ঠুকেন। নিশ্চিত হয় আল নাসরের কোয়ার্টারফাইনাল।

আরো পড়ুন:

শীর্ষে উঠার সুযোগ হারাল অ্যাতলেটিকো

৩০ পেরিয়ে আরও শক্তিশালী রোনালদো

রোনালদোর ক্যারিয়ার গোল সংখ্যা ৯২৭টি। পাঁচ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী তারকা প্রথম ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার ‘১০০০’ থেকে আর ৭৩ গোল দূরে। তাছাড়া এই ম্যাচে গোল পাওয়ায় ‘বয়স ৩০’ পেরিয়ে যাওয়ার পর রোনালদোর গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৪। অর্থাৎ ৩০ এর আগের বা তরুণ রোনালদোর গোল সংখ্যার চেয়েও একটি বেশি।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় ম্যাচেও হার, ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ বসুন্ধরা কিংসের

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে তিন ম্যাচেই হেরে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে বসুন্ধরা কিংস। কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে আজ রাতে ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কুয়েত স্পোর্টস ক্লাবের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। আগের দুই ম্যাচেও হেরেছিল তারা।
আজ ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ক্রস থেকে হেডে স্বাগতিক দলের ইউসুফ নাসের গোল করে কুয়েতে ক্লাবকে এগিয়ে দেন। বিরতির ঠিক আগে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে তাহা ইয়াসিন খেনিসির ডান পায়ের নিখুঁত প্লেসিংয়ে করেন দ্বিতীয় গোল।

এই ম্যাচে কিংসের একাদশে ছিলেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো, যাঁকে এই ম্যাচে দেওয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্বও। টুর্নামেন্টে এটাই ছিল তাঁর প্রথম ম্যাচ। মেহেদি হাসান শ্রাবণের জায়গায় গোলরক্ষক পরিবর্তন করেও ভাগ্য বদলায়নি কিংসের।
কুয়েত যাওয়ার আগে কিংসের আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেজ বলেছিলেন, ভালো কিছু করাই তাঁর দলের লক্ষ্য। নিয়মিত অধিনায়ক তপু বর্মণও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সমর্থকদের। কিন্তু তিন ম্যাচেই হেরে কোনো পয়েন্ট ছাড়াই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে কিংসকে।

শেষ ম্যাচের আগেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কিংসকে। স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে দলের বাসের একটি টায়ার হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। সৌভাগ্যবশত খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ সবাই সুস্থ ছিলেন, যদিও এতে স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়।
গ্রুপ পর্বে ২৫ অক্টোবর কিংস প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওমানের ক্লাব আল সিবের। সেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে যায় কিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল-আনসারের কাছে হার ৩-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচে কিংস করেছে মাত্র একটি গোল, বিপরীতে হজম করেছে সাতটি।
গত বছরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচই হেরেছিল কিংস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তৃতীয় ম্যাচেও হার, ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ বসুন্ধরা কিংসের