নড়াইলের সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে বোমা হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার  বিকেলে নড়াইল সদর থানায় বিএনপি নেতা আহত বাবু মোল্যা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোবরা স্টান্ডে ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে বসে মিটিং করছিলেন নেতাকর্মীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা বিস্ফোরিত হলে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি বাবু মোল্যা (৫৫), গোবরা গ্রামের আবুল হেসেন গাজীর ছেলে নিউটন গাজী (৩৯) ও একই গ্রামের সৈয়দ জাফর আলীর ছেলে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী টিটু (৪২) আহত হন। আহতদের মধ্যে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী টিটুর অবস্থা আশংখা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। 

আরো পড়ুন:

চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলা, থানায় মামলা

মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে বলেন, “বোমা হামলার ঘটনায় সোমবার বিকেলে মামলা হয়েছে। এতে সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৬-৭জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা কেউ এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আহত অভ য গ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ