সাংবাদিক জীবনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে গাবতলীবাসীর নিন্দা ও প্রতিবাদ
Published: 11th, March 2025 GMT
গাবতলী সোসাইটির সভাপতি, গাবতলী বাইতুল মোকাদ্দাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ-সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর ইসদাইর ও গাবতলীর বাসিন্দারা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) গাবতলীবাসীর পক্ষে ২৪১ জন বাসিন্দা লিখিত প্রতিবাদ লিপির মাধ্যমে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদ লিপিতে তারা উল্লেখ করেন, রফিকুল ইসলাম জীবনকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে চলেছে দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকা। এসব রিপোর্ট প্রকাশের পর আবার বিনামূল্যে যুগের চিন্তা পত্রিকা গাবতলী এলাকায় বিলি করা হচ্ছে, যা কিনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং চূড়ান্ত নোংরামি হিসাবে আমরা মনে করি। তাই আমরা দৈনিক যুগের চিন্তার এই ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করবো এই প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর দৈনিক যুগের চিন্তা তাদের এই নোংরা অপপ্রচার বন্ধ করবেন। অন্যথায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গাবতলী বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল আউয়াল বলেন, জীবন অত্যন্ত ভালো মানুষ, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে সে। তার দ্বারা উপকার ছাড়া কারো অপকার হতে কখনো দেখিনি আমরা। এলাকাবাসীর প্রয়োজনে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখে জীবন। তার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হচ্ছে, এগুলোর প্রশ্নই উঠে না, তা শত্রুতামূলকভাবে হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। গাবতলীতে আগে ব্যাপক অপকর্ম হতো, সাংবাদিক জীবন শক্ত হাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ায় এলাকায় এখন সর্বদা শান্তি বিরাজমান। মুলত, সাংবাদিক জীবন থাকাতে আমিও এলাকায় আসি, তা নাহলে আমিও আসতাম না। শুধু আমিই নয়, এলাকার ব্যবসায়ীদের অনেকেই সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকায় আসতো না, তবে জীবন সোসাইটির দায়িত্ব নেয়ার পর এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখার কারণে এলাকা আজ শান্ত। গাবতলী এলাকায় খারাপ কিছু হয় এটা কেউ বলতে পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে, যার জন্য জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। নি:সন্দেহে জীবন অত্যন্ত ভালো মানুষ, এখানে কোনো সন্দেহ নাই। তবে, এলাকায় যারা বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তারা হয়তো জীবনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক জীবন অত্যন্ত ভালো মানুষ। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তখন তাদের সাথেই চলতে হয় সাংবাদিকের, এটা নিয়ে তো এতো বাড়াবাড়ি করার কিছু নাই। শামীম ওসমানের যুগের সাংবাদিকরা শামীম ওসমানের সাথে কথা বলছে, কথা বলতে বাধ্য হয়েছে। আবার এখন শামীম ওসমানরা নাই, বিএনপি হোক জামায়াত হোক, সেই যুগ এসে গেছে আবার তাদের সাথে কথা বলবে এটাই তো স্বাভাবিক।
গাবতলী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা বলেন, আমরা যারা বিদেশ করে এসেছি, আমাদের মন হলো সাদা। আমরা যেটাকে ভালো তাকে ভালোই বলি এবং যেটা খারাপ সেটাকে খারাপ বলি। সেই হিসেবে জীবন স্পষ্টবাদী ছেলে এবং সবসময় ভালো কাজে জড়িত থাকে সে। এলাকার মধ্যে এতো সমস্যা হয়েছে তার সবই সমাধান করা সম্ভব হয়েছে জীবনের কারণে। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জীবন সবসময় দৌড়াদৌড়ি করেছে, পরিশ্রম করেছে। মাদকে সয়লাব হয়ে গিয়েছিলো গোটা এলাকায়, সেই অবস্থা থেকে উত্তরণে সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র জীবনের কারণে। গোটা নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সর্বপ্রথম সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত হয়েছে আমাদের এলাকা। জীবন যা করেছে, খুবই ভালো কাজ করেছে, সে আমাদের এলাকার জন্য একটা আশির্বাদ বলে আমি মনে করি। আসলে, যে ভালো কাজ করে তার বিরুদ্ধেই দুষ্টরা লাগে। জীবনের এতো সব ভালো কাজে যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, মূলত তারাই জীবনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, এছাড়া কিছু নয়।
গাবতলীর বাসিন্দা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, রফিকুল ইসলাম জীবন যে একজন ভালো লোক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ এবং কারো অন্যায় সে সহ্য করতে পারেনা। অন্যায় দেখলেই সে প্রতিবাদ করে। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশেই সে ঝাপিয়ে পড়ে বিনা স্বার্থে, দুইটা পয়সাও তাকে দেয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। এলাকার বহু মানুষের বিপদে তিনি উপকার করছেন যা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, একটি পত্রিকায় দেখলাম রফিকুল ইসলাম জীবনের নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে, সেই পত্রিকাটা দেখে আমি এক লাইন পড়েছি, তারপর পত্রিকাটা ছিড়ে ফেলে দিয়েছি। এতো মিথ্যা কথা সহ্য করা যায় না। সিসি ক্যামেরা লাগানোর কারণে সমগ্র এলকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করছে, এটা রফিক ভাইয়ের (রফিকুল ইসলাম জীবন) অবদান। আগে এলাকায় ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম হতো, এখন এ সমস্ত কোনো কিছুই নেই, হাশিখুশী জীবন যাপন আমাদের। শুধু আমি নয়, এলাকার সবাই তাকে ভালো বলেই বলবে, বলতেই হবে, না বললে সে মোনাফেক।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ বন র ব র দ ধ ব দ ক জ বন আম দ র এল ক র এল ক য় ব যবস গ বতল মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক