ফ্যাসিবাদের দোসররাই নতুন দলে অর্থ প্রদান করছেন কিনা, তা স্পষ্ট করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।

তিনি বলেছেন, “নতুন দলের প্রধান জনাব নাহিদ একটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন- দেশের ধনী ব্যক্তিরাই এই দলকে অর্থায়ন করেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে দেশের ধনী ব্যক্তিরা ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছিল। সেই ফ্যাসিবাদের দোসররাই যে জনাব নাহিদদের অর্থ প্রদান করেননি, সেই বিষয়টা স্পষ্ট করা উচিত বলে মনে করি।”

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শাখা ছাত্রদল আয়োজিত এক স্মরণসভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

সমাবর্তনের পর চাকসুর নির্বাচন

জাদুঘরে রূপান্তর হবে চবির ‘ভূতুড়ে’ ভবন

তিনি বলেন, “এই নতুন রাজনৈতিক দল (এনসিপি) কোনোভাবেই তাদের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। আপনি যদি তাদের সামান্যতম সমালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন তারা পুরাতন রাজনৈতিক দলগুলোর ভুল ধরিয়ে নিজেদের দোষগুলোকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। সুতরাং আমাদের মনে হয়েছে, এই নতুন দল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে পারেনি। বরং আদিম যুগের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতেই তারা নতুন দল গঠন করেছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.

শাহাদাৎ হোসেন, বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাইদ আল নোমান তুর্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, চবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী।

শাখা ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দিন মোহসিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আল-আমিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. নছরুল কদির প্রমুখ।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ