ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন দলে অর্থায়ন করছে কিনা জানতে চান নাসির
Published: 13th, March 2025 GMT
ফ্যাসিবাদের দোসররাই নতুন দলে অর্থ প্রদান করছেন কিনা, তা স্পষ্ট করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
তিনি বলেছেন, “নতুন দলের প্রধান জনাব নাহিদ একটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন- দেশের ধনী ব্যক্তিরাই এই দলকে অর্থায়ন করেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে দেশের ধনী ব্যক্তিরা ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছিল। সেই ফ্যাসিবাদের দোসররাই যে জনাব নাহিদদের অর্থ প্রদান করেননি, সেই বিষয়টা স্পষ্ট করা উচিত বলে মনে করি।”
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শাখা ছাত্রদল আয়োজিত এক স্মরণসভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সমাবর্তনের পর চাকসুর নির্বাচন
জাদুঘরে রূপান্তর হবে চবির ‘ভূতুড়ে’ ভবন
তিনি বলেন, “এই নতুন রাজনৈতিক দল (এনসিপি) কোনোভাবেই তাদের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। আপনি যদি তাদের সামান্যতম সমালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন তারা পুরাতন রাজনৈতিক দলগুলোর ভুল ধরিয়ে নিজেদের দোষগুলোকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। সুতরাং আমাদের মনে হয়েছে, এই নতুন দল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে পারেনি। বরং আদিম যুগের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতেই তারা নতুন দল গঠন করেছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.
শাখা ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দিন মোহসিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আল-আমিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. নছরুল কদির প্রমুখ।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি উত্তীর্ণ হন।
আজ বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম আরফান হোসেনের হাতে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’ তিনি বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিল কিশোরী ফেলানী খাতুন। সীমান্ত হত্যার সেই মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফেলানীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরমান হোসেনের (২১) এই নিয়োগ যেন দীর্ঘদিনের এক চাপা বেদনার মাঝে আশার দীপ্তি এনে দিয়েছে। পরিবারসহ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে যাওয়া বোন ফেলানী খাতুনের অসমাপ্ত স্বপ্ন একদিন আরমান হোসেন পূর্ণ করবেন।
এইচএসসি পাস আরফান হোসেন নিয়োগপত্র পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ছেলের এই চাকরি তাঁর যোগ্যতায় হয়েছে, সবার দোয়াও ছিল। তাঁর ছেলে চাকরিজীবনে সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে। তাহলে তাঁর মেয়ে ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার পর কাঁটাতারে ঝুলে ছিল বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের মরদেহ।