শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আবারও নিজের জাদু দেখালেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামির হয়ে ক্যাভালিয়ার এফসির বিপক্ষে মাঠে নেমেই গোলের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে জ্যামাইকান ক্লাব ক্যাভালিয়ারের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ম্যাচটি প্রথমে নির্ধারিত ছিল মাত্র তিন হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মাঠে। তবে মেসির আগমনকে ঘিরে তুমুল উন্মাদনা দেখা দেওয়ায় ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয় কিংস্টনের জাতীয় স্টেডিয়াম, ইন্ডিপেন্ডেন্টস পার্কে।

দর্শকদের অপেক্ষা বাড়িয়ে দিয়ে প্রথমার্ধে বেঞ্চে বসেই সময় কাটান মেসি। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরার প্রতীক্ষা যেন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল তার নামার মুহূর্তটি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামানো হয় তাকে।

আরো পড়ুন:

কোচের ঘাড় চেপে ধরে লঘু শাস্তি মেসির

অতিরিক্ত ১১ মিনিট পেয়ে মেসির মিয়ামির গোল, দেখলেন রোনালদোর সিউ! 

খেলা তখন গড়িয়েছে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের শেষ প্রান্তে। স্কোরলাইন ১-০, ইন্টার মায়ামির পক্ষে। কিন্তু মেসি থাকলে কি আর ম্যাচ সাধারণভাবে শেষ হয়?

বাঁ প্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণ চেরা এক পাস বাড়িয়ে দেন সান্তিয়াগো মোরালেস। সামনে একগুচ্ছ ডিফেন্ডার, কিন্তু মেসির উপস্থিতি মানেই নতুন কিছু। ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চোখের পলকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে আলতো ছোঁয়ায় বল পাঠিয়ে দেন জালে। মুহূর্তেই স্টেডিয়ামে বাঁধভাঙা উল্লাস! জ্যামাইকান দর্শকরাও বিস্ময়ে হতবাক—এ যেন এক সম্মোহনী মায়াজাল!

এই ম্যাচ দিয়েই তিন ম্যাচের বিরতির পর মাঠে ফিরলেন মেসি। চোট না বিশ্রাম, এ নিয়ে নানা গুঞ্জনের পর অবশেষে দলের মেডিকেল টিম জানিয়েছিল, শারীরিক অবসাদের কারণে তাকে কিছুদিন মাঠের বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু ফেরার পর সেই চিরচেনা মেসিই ধরা দিলেন।

শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করতে এই জয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়েছে মায়ামি শিবির। লুইস সুয়ারেসের প্রথমার্ধের পেনাল্টি এবং মেসির শেষ মুহূর্তের গোল মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি।

এখন সামনে আরও কঠিন প্রতিপক্ষ লস অ্যাঞ্জেলস এফসি। তবে মেসির মতো একজন থাকলে যে কোনো ম্যাচেই রোমাঞ্চ লুকিয়ে থাকে, সেটি আবারও প্রমাণ হলো জ্যামাইকার মাটিতে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ইন ট র ম য় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরুণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. রাব্বি মিয়া (২০) নামের এক তরুণ আহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে। গুলির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে আহত রাব্বির মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গুলিবিদ্ধ রাব্বি উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রাব্বি পরিবারের সঙ্গে নবীনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নবীনগর উপজেলার টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান (৪৮), জাহিদ মিয়া (১৯), জুবায়েদ মুন্সী (১৯), মো. আহসান উল্লাহ (৪৪) ও মো. জসিম উদ্দিন (৪৪)। তাঁরা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশিদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. সানি (২০) ও একই পাড়ার মো. জিসানের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও তর্ক হয়। একপর্যায়ে ঝগড়ার সময় সানি জিসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সালিস ডাকে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার কালীবাড়ি মোড়ের জমিদারবাড়ির মাঠে সানিসহ তাঁর লোকজন ও জিসানসহ তাঁর লোকজন সালিসে বসেন।

গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রাব্বি সানির পক্ষের সমর্থক। তবে সালিসের রায়ে সানি ও তাঁর লোকজন সম্মত হননি। সালিস ছেড়ে ওঠার সময় জিসানসহ তাঁর লোকজন সানির লোকজনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে জিসান বন্দুক বের করে গুলি করেন। এতে রাব্বি গুলিবিদ্ধ হন এবং প্রতিপক্ষের হামলায় সানি আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাব্বিকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, তরুণের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে গুলি লেগেছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ