প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটা নিঃসন্দেহে দারুণ অভ্যাস। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিজেকে সচল রাখা জরুরি। হাঁটার জন্য কোনো উপকরণ লাগে না। ঠিকঠাক হাঁটার উপযোগী এক জোড়া জুতা থাকলেই চলে। হাঁটার জন্য বিশাল জায়গা না থাকলেও চলবে। ঘরের মধ্যে বা বারান্দা, ছাদেও হাঁটতে পারেন দুই বেলা।

হাঁটলে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। রক্তচাপ ও রক্তের সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ ও দীর্ঘমেয়াদি কিডনির ঝুঁকি কমে। বলা হয়, এসব উপকার পেতে রোজ ১০ হাজার কদম হাঁটা উচিত। ১০ হাজার কদম হাঁটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।

আরও পড়ুনযে ৯টি ব্যায়াম মস্তিষ্কের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়াবে০৭ মার্চ ২০২৫

প্রথমে একটা মোটামুটি হিসাব করে দেখুন, আপনি রোজ কত কদম হাঁটেন। আজকাল মুঠোফোনে বিভিন্ন অ্যাপস আছে, যা দিন শেষে নিজে থেকেই আপনাকে এই হিসাব দিয়ে দেবে। হাঁটাহাঁটির পরিমাণ বাড়াতে হলে বর্তমান অবস্থা থেকে প্রথমে এক হাজার কদম বাড়াতে চেষ্টা করুন। এই প্রচেষ্টা সফল হলে দুই সপ্তাহ পর আরও এক হাজার কদম বাড়ান। এভাবে ধাপে ধাপে আপনি ১০ হাজার কদমের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।

বহুতল ভবনের কাঙ্ক্ষিত তলায় পৌঁছানোর দু–একতলা আগেই লিফট থেকে নেমে পড়তে পারেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ