জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত কোনো কিছুই আমরা চাই না। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা পাবলিকের মতামত ও আবেগকে প্রভাবিত করে। তবুও আমরা সর্বাবস্থায় বলি, আপনারা ধৈর্য ধরুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করুন এবং বিচারকে তার আপন গতিতে এগোতে দেন। সেটার মধ্যেই কল্যাণ। মব জাস্টিস শুধু এখানে কিংবা এখন নয়, যুগ যুগ ধরেই এটি চলে আসছে। কোনো মব জাস্টিস আমরা সমর্থন করি না।’

আজ শনিবার সকালে মাগুরার শ্রীপুরে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত শিশুটির গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

শিশুটির পরিবারকে সান্ত্বনা ও সহানুভূতি জানাতে আজ সকালে একটি হেলিকপ্টারে মাগুরার শ্রীপুরে আসেন জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা। সকাল ১০টার দিকে প্রথমে তিনি শিশুটির কবর জিয়ারত করেন। এরপর স্থানীয় একটি বিদ্যালয় মাঠে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, ৯০ দিনের মধ্যে বিচার ও রায় কার্যকর দেখতে চাই। অনেকে বলেছে, এক সপ্তাহ, কিন্তু এ দেশের আইনে এক সপ্তাহে বিচার সম্ভব নয়। এ জন্য বলেছি, ৯০ দিন।’

জামায়াতের আমির বলেন, তাঁরা এই মেয়ের হত্যাকারীদের অত্যন্ত দ্রুত শাস্তি কার্যকর দেখতে চান। তাহলে এই পরিবার হয়তো মানসিক সান্ত্বনা পাবে। দেশবাসীও একটা সান্ত্বনা পাবে। পাশাপাশি বিচার কার্যকর হলে এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক হবে।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন।

দোয়া মাহফিল শেষে শিশুটির বাড়িতে যান জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানসহ দলটির নেতারা। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিশুটির পরিবারকে সান্ত্বনা ও সহানুভূতি জানানোর পাশাপাশি কীভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেটি বুঝতেই তাঁদের বাড়িতে আসেন দলটির আমির।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন ত বন র আম র পর ব র ইসল ম দলট র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরুণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. রাব্বি মিয়া (২০) নামের এক তরুণ আহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে। গুলির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে আহত রাব্বির মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গুলিবিদ্ধ রাব্বি উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রাব্বি পরিবারের সঙ্গে নবীনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নবীনগর উপজেলার টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান (৪৮), জাহিদ মিয়া (১৯), জুবায়েদ মুন্সী (১৯), মো. আহসান উল্লাহ (৪৪) ও মো. জসিম উদ্দিন (৪৪)। তাঁরা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশিদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. সানি (২০) ও একই পাড়ার মো. জিসানের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও তর্ক হয়। একপর্যায়ে ঝগড়ার সময় সানি জিসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সালিস ডাকে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার কালীবাড়ি মোড়ের জমিদারবাড়ির মাঠে সানিসহ তাঁর লোকজন ও জিসানসহ তাঁর লোকজন সালিসে বসেন।

গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রাব্বি সানির পক্ষের সমর্থক। তবে সালিসের রায়ে সানি ও তাঁর লোকজন সম্মত হননি। সালিস ছেড়ে ওঠার সময় জিসানসহ তাঁর লোকজন সানির লোকজনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে জিসান বন্দুক বের করে গুলি করেন। এতে রাব্বি গুলিবিদ্ধ হন এবং প্রতিপক্ষের হামলায় সানি আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাব্বিকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, তরুণের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে গুলি লেগেছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ