রাবির ক্রীড়াঙ্গনে যুক্ত হচ্ছে আর্চারি
Published: 15th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রীড়াঙ্গনে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে আর্চারি (তীরন্দাজ) খেলা। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে খেলাটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, আর্চারি ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, আর্চারি ফেডারেশনের কোর্চ মার্টিন ফ্রেডরিক প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
রাবিতে এক ছাদের নিচে ছাত্রদল-শিবির-বাম
শিবির নেতা নোমানী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ
আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, “স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আর্চারি খেলতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন পারবে না? সেই জায়গা থেকেই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্চারি খেলা চালু করেছি।”
তিনি বলেন, “আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও চালু করবো। আমরা চেষ্টা করবো বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ খেলা চালু করার। আমাদের দক্ষ একজন কোচ রয়েছে, যার পরামর্শে শিক্ষার্থীরা অনুশীলন করলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করবে বলে আমি আশাবাদী।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় ভালো অবদান রাখছে। দেশের মধ্যে আর্চারি খেলার প্রচলন বেশি একটা না থাকলেও আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব পরিমণ্ডলে আর্চারি খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।”
তিনি বলেন, “আর্চারি ফেডারেশনের সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াঙ্গনে আজ থেকে আর্চারি খেলার যাত্রা শুরু হলো। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অনুশীলন করলে আর্চারিতেও ভালো করবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য আর চ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’