জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ের নতুন অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা এই খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ সময় আন্তোনিও গুতেরেস অফিস প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। পরে সেখানে তিনি জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন করেন।

এর আগে আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ আবাসিক কার্যালয়ে কর্মরতদের (বাংলাদেশ কান্ট্রি টিম) সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। পরের দিন শুক্রবার তিনি কক্সবাজার সফর করেন। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে  উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেছেন।

আরও পড়ুনএক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব১৪ মার্চ ২০২৫

সফরের তৃতীয় শনিবার ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস। এদিন তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তরুণ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। রোববার সকালে তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের সন্ধিক্ষণে সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ৭ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ