নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ুয়া নওগাঁ জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন নওগাঁ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের সাবেক সদস্য কায়েস বলেন, “যে উদ্দেশ্যে এ সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তা পূরণ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে আমরা বৈষম্যের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। মানুষের মৌলিক অধিকার তাদের (সরকার) কর্ণপাতের মধ্যে পড়ে না। আপনারা এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন।”

আরো পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানে ‘সহিংসতায় জড়িত’ ১২৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন 

সাবেক সদস্য মো.

আলী আহসান বলেন, “আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষ অন্যান্য এলাকার মতো এতো বেশি ঢাকা শহরে নেই। তার মানে এই না যে, আমাদের অবজ্ঞা করবেন। আমরা বুকের তাজা রক্ত দিতে জানি। এ মেডিকেল অপসারণ না করে কিভাবে এটাকে আধুনিকায়ন করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করুন।”

সাধারণ সম্পাদক নোমান আহমেদ চৌধুরী বলেন, “ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে সরকার। এর ফলে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার মান আরো নিচে নেমে আসতে পারে। নওগাঁর মাটি অনেক উর্বর। এখানে সবচেয়ে ধান ও আম উৎপাদন হয়। নওগাঁর মানুষ যতদিন বেঁচে আছে কোনোভাবেই এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না।”

তিনি বলেন, “এ মেডিকেল বন্ধ হলে নওগাঁয় রক্তপাত হবে। নওগাঁ থেকে আপনারা সবকিছু নিয়ে আসবেন কিন্তু সুযোগ-সুবিধা দিবেন না, এটা আমরা হতে দেব না। আমরা ৫ আগস্টের মাধ্যমে আমরা লড়াই করা শিখে গেছি। এর ফলাফল কখনো ভালো হবে না।”

সভাপতি রিদুয়ান রহমান বলেন, “নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এটা মানহীন। রাজশাহী বিভাগে যে মেডিকেল কলেজ পাশের হারে শীর্ষে, তা কিভাবে মানহীন হয়? আরও বলা হচ্ছে স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। স্থায়ী ক্যাম্পাস দিতে পারেনি, এটা সরকারের ব্যর্থতা। যদি নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসেন, তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ  বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের  বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r

একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত  আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ