নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের আলিয়ারা-সাতবাড়ীয়া-অষ্টগ্রাম সড়কের খালের ওপর নির্মিত সাতবাড়িয়া সেতুটি বেহাল হয়ে পড়েছে। জনসাধারণের চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি। 
সেতুর পাটাতনের স্লাবগুলো ভেঙে গেছে। কাঠ ও লোহার পাত দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া সেতুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে প্রায় ১৫ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, ৬০-৭০ বছর আগে সাতবাড়িয়া খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন সময় রড ও সিমেন্টের (পাটাতন) স্লাবগুলো ভেঙে যেতে থাকে। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশে রেলিং ভেঙে যায়। সেতুর উভয় পাশের মাটি সরে গিয়ে গভীর গর্তে পরিণত হয়েছে। জরাজীর্ণ সেতুটি দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, সাতবাড়িয়া বাজার, মসজিদ, এতিমখানা, আলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাইয়ারা, চৌকুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৌকুড়ী বাজারে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ।
সাতবাড়িয়া গ্রামের সালাউদ্দিন, শাকিল, তামজীদ বলেন, এই সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কয়েকবার বলেছেন তারা। কিন্তু সেতুটি এখনও পুনর্নির্মাণের খবর নেই। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারেন না তারা। 
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুল ইসলাম শিকদার জানান, সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে নতুনভাবে কাজ শুরু করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ