ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পারাপারে দুর্ঘটনার শঙ্কা
Published: 18th, March 2025 GMT
নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের আলিয়ারা-সাতবাড়ীয়া-অষ্টগ্রাম সড়কের খালের ওপর নির্মিত সাতবাড়িয়া সেতুটি বেহাল হয়ে পড়েছে। জনসাধারণের চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি।
সেতুর পাটাতনের স্লাবগুলো ভেঙে গেছে। কাঠ ও লোহার পাত দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া সেতুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে প্রায় ১৫ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, ৬০-৭০ বছর আগে সাতবাড়িয়া খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন সময় রড ও সিমেন্টের (পাটাতন) স্লাবগুলো ভেঙে যেতে থাকে। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশে রেলিং ভেঙে যায়। সেতুর উভয় পাশের মাটি সরে গিয়ে গভীর গর্তে পরিণত হয়েছে। জরাজীর্ণ সেতুটি দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, সাতবাড়িয়া বাজার, মসজিদ, এতিমখানা, আলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাইয়ারা, চৌকুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৌকুড়ী বাজারে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ।
সাতবাড়িয়া গ্রামের সালাউদ্দিন, শাকিল, তামজীদ বলেন, এই সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কয়েকবার বলেছেন তারা। কিন্তু সেতুটি এখনও পুনর্নির্মাণের খবর নেই। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারেন না তারা।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুল ইসলাম শিকদার জানান, সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে নতুনভাবে কাজ শুরু করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৬০ হাজার ৮০২ টন গম নিয়ে দেশে এল যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ৬০ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি স্পার এরিস নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।
সোমবার (২ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
আমি থাকাকালে তাইওয়ানে হামলার ‘পরিণতি কী হবে’ চীন জানে: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশের সরকারে মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে জি টু জি ভিত্তিতে এ আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) চুক্তিটি সই করে। এর আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।
জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২৫ অক্টোবর প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশে পৌঁছায়।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ