খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসিত গ্রুপের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে মাটিরাঙ্গা তাইন্দং হেডম্যান পাড়া এলাকার এই ঘটনায় আরেকজন নারী আহত হয়েছেন। 

নিহত ব্যক্তির নাম অস্তিন ত্রিপুরা। তিনি মায়া কুমারপাড়ার বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। তার বোন তারাপতি আহত হয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

যশোরে অ্যাম্বুলেন্স-ভ্যানের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩

বাউফলে পিটুনিতে ডাকাত নিহতের ঘটনায় ২ মামলা

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, তাদের সাধারণ কর্মীদের ওপর অর্তকিতে হামলা চালালে অস্তিন ত্রিপুরা ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনা জন্য তিনি সন্তু লারমা জেএসএসকে-কে দায়ী করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সন্তু লামরা দলের পক্ষের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মাটিরাঙ্গা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা রেজা জানান, ঘটনার কথা শুনেছি। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় এখনো নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। তবে সেখানে পুলিশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে ১৬ মার্চ রাঙামাটির সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের খামার পাড়ার তৈ মেদুং পাহাড়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নির্মল খীসা (৩২) নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি ইউপিডিএফের কর্মী ছিলেন। নিহত নির্মল নানিয়ারচর উপজেলার নানিয়াচর ইউনিয়নের ইউনিয়নের তৈ-চাকমা গ্রামের সুনীল বিহারী খীসার ছেলে।

পাহাড়ে প্রায়ই আন্তঃদলীয় কোন্দলের জেরে গুলির ঘটনা সামনে আসে।

ঢাকা/রূপায়ন/রাসেল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত আহত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ