বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, নীরবতা ভাঙলেন পাকিস্তানি অভিনেতা
Published: 20th, March 2025 GMT
“আমার চারটি বিয়ের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু আমি তা করছি না; সেটা ভিন্ন বিষয়। আল্লাহ আমাকে এই অনুমতি দিয়েছেন।”— একটি টিভি চ্যানেলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এমন মন্তব্য করেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা দানিশ তৈমুর।
এ সময় অভিনেতার পাশেই ছিলেন তার স্ত্রী আয়েজা খান। দানিশের এমন মন্তব্য শোনার পর অভিনেত্রী আয়েজা খানও সম্মতিসূচক মাথা নাড়েন। বহুবিবাহকে উৎসাহিত করার কারণে এ মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে; তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
নেটিজেনদের অনেকে দানিশকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন। লিসা নামে একজন লেখেন, “দানিশ তৈমুর আপনার মন্তব্যে মানুষ হতবাক। আপনি অহংকারী, বিষাক্ত ও পশ্চাদগামী।” আরেকজন লেখেন, “আয়েজা খানের এখন অন্য কাউকে খুঁজে নেওয়া উচিত।” এমন অনেক মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।
এ পরিস্থিতিতে নীরবতা ভেঙেছেন দানিশ। পাকিস্তানি একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেন এই অভিনেতা। বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করায় সঞ্চালককে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে দানিশ বলেন, “লোকেরা কী বলেন তা নিয়ে আপনি খুবই চিন্তিত!” এরপর এ অভিনেতা বলেন, “মানুষের কারণে নয়, আমরা এখানে আছি আল্লাহর কারণে।”
১৯৮৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন দানিশ তৈমুর। করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ফ্যাশন মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৫ সালে টিভি ধারাবাহিক ‘মিস্ট্রি সিরিজ’-এর মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ারের যাত্রা করেন তিনি।
দানিশ অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিজ হলো— ‘রেহি’ (২০১৩), ‘আব দেখা খোদা কিয়া করতা হ্যা’(২০১৮-২০১৯), ‘দিওয়াঙ্গি’ (২০১৯-২০২০), ‘ইশক হ্যায়’ (২০২১) প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা