ইয়ামালের রোজা রেখে খেলায় আপত্তি নেই স্পেন কোচের
Published: 20th, March 2025 GMT
উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আজ রাতে নেদারল্যান্ডসের মাঠে খেলবে স্পেন। ফিরতি লেগ আগামী রোববার স্পেনের মাঠে। দেশটির প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ম্যাচ দুটি রোজা রেখে খেলবেন লামিনে ইয়ামাল। এ নিয়ে প্রধান কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের কোনো আপত্তি নেই।
গতকাল রাতে রটারডামে ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দে লা ফুয়েন্তে ইয়ামাল প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে পুরোপুরি স্বাভাবিক ব্যাপার। সে তার ক্লাবে (বার্সেলোনা) যে নীতিমালা, নিয়মকানুন অনুসরণ করছে, এখানেই তা-ই করবে। চিকিৎসা দল ও পুষ্টিবিদ তাকে খাওয়াদাওয়া সম্পর্কে নির্দেশিকা দিয়েছে।’
উদীয়মান তারকা ইয়ামালের জন্ম স্পেনে হলেও তাঁর বাবা মুনির নাসরাউয়ি একজন মরক্কোন মুসলিম। ইয়ামাল তাঁর পৈতৃক পরিবারের সম্মানে মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজানে রোজা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে কদিন আগে জানায় স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা।
স্পেনকে ইউরো ও নেশনস লিগের শিরোপা জেতানো কোচ দে লা ফুয়েন্তে আরও বলেছেন, সব ধর্মের প্রতিই তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে, ‘সকল বিশ্বাসের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে। সে খেলার জন্য একদম সেরা অবস্থায় আছে। যদিও আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। কিন্তু আপনাকে সব সময়ের মতো এগিয়ে যেতে হবে।’
ইয়ামালই স্পেন জাতীয় দলে খেলা প্রথম মুসলিম ফুটবলার নন। আদামা ত্রাওরে, আনসু ফাতি, মুনির এল হাদ্দাদিরাও ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
তবে ত্রাওরে ও ফাতি রমজান মাসে স্পেনের হয়ে এখনো কোনো ম্যাচ খেলেননি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্পেনের হয়ে অভিষেক হয় মুনিরের। দেশটির জার্সিতে তিনি ওই এক ম্যাচই খেলেছেন। তবে সেই সময় রমজান মাস ছিল না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।