উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আজ রাতে নেদারল্যান্ডসের মাঠে খেলবে স্পেন। ফিরতি লেগ আগামী রোববার স্পেনের মাঠে। দেশটির প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ম্যাচ দুটি রোজা রেখে খেলবেন লামিনে ইয়ামাল। এ নিয়ে প্রধান কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের কোনো আপত্তি নেই।

গতকাল রাতে রটারডামে ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দে লা ফুয়েন্তে ইয়ামাল প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে পুরোপুরি স্বাভাবিক ব্যাপার। সে তার ক্লাবে (বার্সেলোনা) যে নীতিমালা, নিয়মকানুন অনুসরণ করছে, এখানেই তা-ই করবে। চিকিৎসা দল ও পুষ্টিবিদ তাকে খাওয়াদাওয়া সম্পর্কে নির্দেশিকা দিয়েছে।’

উদীয়মান তারকা ইয়ামালের জন্ম স্পেনে হলেও তাঁর বাবা মুনির নাসরাউয়ি একজন মরক্কোন মুসলিম। ইয়ামাল তাঁর পৈতৃক পরিবারের সম্মানে মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজানে রোজা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে কদিন আগে জানায় স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা।

স্পেনকে ইউরো ও নেশনস লিগের শিরোপা জেতানো কোচ দে লা ফুয়েন্তে আরও বলেছেন, সব ধর্মের প্রতিই তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে, ‘সকল বিশ্বাসের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে। সে খেলার জন্য একদম সেরা অবস্থায় আছে। যদিও আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। কিন্তু আপনাকে সব সময়ের মতো এগিয়ে যেতে হবে।’

ইয়ামালই স্পেন জাতীয় দলে খেলা প্রথম মুসলিম ফুটবলার নন। আদামা ত্রাওরে, আনসু ফাতি, মুনির এল হাদ্দাদিরাও ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

তবে ত্রাওরে ও ফাতি রমজান মাসে স্পেনের হয়ে এখনো কোনো ম্যাচ খেলেননি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্পেনের হয়ে অভিষেক হয় মুনিরের। দেশটির জার্সিতে তিনি ওই এক ম্যাচই খেলেছেন। তবে সেই সময় রমজান মাস ছিল না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ