ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বস্তার অঞ্চলে পৃথক দুটি অভিযানে অন্তত ২২ জন মাওবাদী ও একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দক্ষিণ বস্তারের বিজাপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে প্রথমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ছত্তিশগড় পুলিশ সূত্র জানায়, বিজাপুর সংঘর্ষস্থল থেকে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং কাঁকের এলাকায় পৃথক একটি সংঘর্ষে আরো ৪টি লাশ পাওয়া গেছে। দুই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ওই জওয়ান ছত্তিশগড় ‘জেলা রিজার্ভ গার্ড’ (ডিআরজি)-এর সদস্য ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড় রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, মাওবাদীদের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে বিজাপুর ও কাঁকের জেলায় দুটি অভিযান চালানো হয়। ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল ওই নকশালবিরোধী ওই অভিযানটি পরিচালনা করে। 

প্রথম এবং সবচেয়ে বড় সংঘর্ষটি হয় গঙ্গালুরের বিজাপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তের ঘন জঙ্গলে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৮ জন মাওবাদী এবং ‘জেলা রিজার্ভ গার্ড’-এর ১ সদস্য নিহত হন। সকাল ৭টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয় এবং বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সেই সংঘর্ষ চলে। 

বিজাপুর পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, সংঘর্ষস্থল থেকে এখনো পর্যন্ত ১৮ জন মাওবাদীর লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকও জব্দ করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, কাঁকের জেলায় ছোটেবেঠিয়ার কোরোস্কোডো গ্রামের কাছে একটি পৃথক অভিযানে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ে ৪ মাওবাদী নিহত হয়েছে। মাওবাদীদের উপস্থিতির বিষয়টি টের পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান চালানোর সময় মাওবাদীরা তাদের ওপর আক্রমণ করলে পাল্টা প্রতিশোধ নেয় যৌথ বাহিনী। 

ঘটনাস্থলে আর কোন মাওবাদী আত্মগোপন করে রয়েছে কি না, তার সন্ধানে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। 

এই অভিযানের পরই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘নকশালমুক্ত ভারত অভিযানের অংশ হিসেবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আরেকটি বড় সফলতা পেয়েছে। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর এবং কাঁকের এলাকায় দুটি পৃথক অভিযানে ২২ জন নকশাল নিহত হয়েছে।’’ এর আগে চলতি বছরের মধ্যেই ভারতবর্ষ মাওবাদী মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

ঢাকা/সুচরিতা/এনএইচ 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ঢাকার গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মার্কেটের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের স্টেশন অফিসার এবং মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম রাইজিংবিডিকে বলেন,  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  সোয়া এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানিয়েছেন, “সকাল ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর আসে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সোয়া এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।” 

তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে আগুন লাগার খবর পেয়ে ভিড় করে উৎসুক জনতা ও ব্যবসায়ীরা। 

ঘটনাস্থলে এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ