দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।

ইজনুরির কারণে এই ম্যাচে অবশ্য খেলতে পারবেন না আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কোচ লিওনেল স্কালোনি এই ম্যাচে মেসির বিকল্প খেলোয়াড়ের খোঁজ করছেন।  

শুধু মেসি নন, ইনজুরির কারণে গঞ্জালো মন্তিয়েল, জিওভানি লো সেলসো ও পাওলো দিবালাকেও দলে রাখা হয়নি। বুধবার নিশ্চিত করা হয় যে, লাওতারো মার্টিনেজও উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের বিপক্ষের ম্যাচগুলোতে খেলতে পারবেন না।

আরো পড়ুন:

শেষ মুহূর্তে মেসির গোল, কোয়ার্টার ফাইনালে মায়ামি

কোচের ঘাড় চেপে ধরে লঘু শাস্তি মেসির

গোলপোস্টের নিচে নির্ভরযোগ্য এমিলিয়ানো মার্টিনেজ শুরু থেকে খেলবেন। রাইট-ব্যাকে থাকবেন নাহুয়েল মোলিনা। আর লেফট-ব্যাকে দেখা যাবে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোকে।

অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি তার ১২৪তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামবেন। তার সঙ্গে রক্ষণভাগে থাকতে পারেন টটেনহ্যাম হটস্পারের ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, যিনি চলতি মাসের শুরুতে ইনজুরি থেকে ফিরেছেন।  

মিডফিল্ডে লিভারপুলের অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার খেলবেন, যিনি ক্লাবের হয়ে ইএফএল কাপ ফাইনালের হার ভুলে যেতে চাইবেন। তার সঙ্গে থাকবেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের রদ্রিগো ডি পল ও চেলসির এনজো ফার্নান্দেজ।  

মেসির অনুপস্থিতিতে স্কালোনি ডান উইংয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে একজনকে শুরুর একাদশে রাখবেন। জুলিয়ানো সিমিওনে ও আনহেল কোরেয়া—দুজনই জায়গার জন্য লড়াই করছেন, তবে কোরেয়া কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারেন। কারণ, তাকে মেসির অনুপস্থিতিতে ১০ নম্বর জার্সি দেওয়া হয়েছে।

জুভেন্টাসের নিকোলাস গঞ্জালেস বাঁ প্রান্ত থেকে আক্রমণে ভূমিকা রাখবেন। সেপ্টেম্বরের পর এটি হবে তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কারণ, ২০২৪ সালের শেষ চারটি বাছাইপর্বের ম্যাচ তিনি ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি।

এদিকে, চলতি মৌসুমে ৪৪টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ২৩ গোল করা ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজ আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দেবেন এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে তার ক্লাব ফর্ম ধরে রাখার চেষ্টা করবেন।  

আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ:  
গোলরক্ষক: মার্টিনেজ।  
ডিফেন্ডার: মোলিনা, রোমেরো, ওটামেন্ডি ও তাগলিয়াফিকো।
মিডফিল্ডার: ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার ও ফার্নান্দেজ।  
আক্রমণভাগ: কোরেয়া, গঞ্জালেস ও আলভারেজ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ