বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা, আদর্শ ও নৈতিকতায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ ও হৃৎপিন্ড। তাদের মধ্যে মতাদর্শের, কাজের ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষায়, আদর্শ ও নৈতিক মান এই তিনটি পয়েন্টে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করে যেতে হবে।”

শনিবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির ক্যাফেটেরিয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশ সৃষ্টির পর প্রতিষ্ঠিত প্রথম এ বিশ্ববিদ্যালয় ৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে। এ সময়ের মধ্যে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগামীতে ইবি একটি নেতৃত্বদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষায়, আদর্শে ও নৈতিক মানে ভূমিকা রাখতে সবাইর ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “রমজান মাস ধৈর্য ধারণ, পরমত সহিষ্ণুতা ও অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাস। আজ এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”

প্রক্টর অধ্যাপক মো.

শাহীনুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম।

এ সময় সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল বারী, অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম, অধ্যাপক ফকরুল ইসলাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ মিন্নাতুল করিম,অধ্যাপক মোছা. খোদেজা খাতুনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বঞ্চনার শিকার বাংলাদেশের সাংবাদিকরা

শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার, ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী যারা বেতন দেন না অথচ মিথ্যাচার করেন- সেসব মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

আরো পড়ুন:

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সরকার বন্ধ করেনি: তথ্য উপদেষ্টা

খুবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে রমিন-মিরাজ

কাদের গনি বলেন, “সভ্যতার বিকাশে শ্রমিকের অবদান সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তারাই পান না শ্রমের মর্যাদা, অবহেলায় কাটে তাদের দিন।”

তিনি বলেন,“শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশ মিডিয়ার সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেন না। অথচ ওয়েজবোর্ডে বেতন দেন-এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এসব ঠকবাজ মালিকদের বিরুদ্ধে ইউনিয়নকে সক্রিয় হতে হবে।”

কাদের গনি বলেন, “শ্রম, শ্রমিক এই দুয়ের উপরেই আজকের আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে তাজমহলকে নিয়ে আজ বিশ্বের এত মাতামাতি সেই তাজমহল তৈরিতে লেগেছে শ্রমিকদের ঘাম। অথচ আজকের সমাজ যেন কুলি-মজুর এবং সাহেব এই দুই শ্রেণিতে ভাগ হয়ে গেছে।”

টাকা-পয়সা এই পার্থক্য তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, “বাংলাদেশে এ বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারের পাশে কোনো মালিক দাঁড়ায়নি।”

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা রোগে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে অর্থনীতি।”

বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে এক হাজার ৪৩২ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন ৫০২ জন।”

বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাকের হোসাইন, খায়রুল বাশার, বাছির জামাল, এরফানুল হক নাহিদ, মোরসালিন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক, রফিক মোহাম্মদ, বাবুল তালুকদার, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, মোদাব্বের হোসেন, সাঈদ খান, আবু হানিফ, দিদারুল আলম, আবুল কালাম মানিক, আবুল কালাম ও রফিক লিটন।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ