চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন শহরের স্থানীয় এক হোটেলে শনিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বৃহত্তর চীন শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাবেক ছাত্রনেতা মো. ওয়ালী উল্লাহের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর চীন শাখা বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.

 সাখাওয়াত হোসেন কানন।

আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শেখ মাহবুবুর রশীদ, মো. আসিফ হক রুপু, মো. হাসমত আলী মৃধা জেমস, এস এম আল-আমিন, মো. সালাউদ্দিন রিক্তা, মনোয়ার বায়েজীদসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ। 

ইফতার মাহফিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়। 

অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন জিয়া পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করে বলেন, তারা আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের কর্মী। তার আদর্শে, সততা, নিষ্ঠা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। 

আসিফ হক রুপু চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এবং দেশের স্বার্থ রক্ষায় নেতাকর্মীদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে চীন শাখার নেতাকর্মীদের এক সাথে কাজ করতে হবে।

চীনের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ