জুঁই নিবেদিত পপ অফ কালার লিমিটেড আয়োজিত নারী দিবস উদযাপন
Published: 24th, March 2025 GMT
নারীর শক্তি, সাফল্য আর সম্ভাবনা প্রকাশে বর্ণিল উৎসবের আয়োজন করেছে নারীকেন্দ্রিক ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম পপ অফ কালার। গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আমারি হোটেলে আয়োজিত হয় ‘জুঁই নিবেদিত পপ অফ কালার নারী দিবস উদযাপন ২০২৫’। দুই শতাধিক নারীর অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডকম লিমিটেডের চেয়ারপারসন গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নারীরা এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না, তারা সেই স্বপ্ন পূরণ করেও দেখাচ্ছে।’ এ সময় নারীদের পথচলায় পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ বিন তাজ, গ্রামীণ ড্যানোন শক্তি+ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপেশ নাগ, গ্রামীণ ড্যানোন শক্তি+ এর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর সুরাইয়া সিদ্দিকা, প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান, ডেইলি স্টারের হেড অব মার্কেটিং তাজদিন হাসানসহ বিভিন্ন খাতের ব্যক্তিত্বরা।
অনুষ্ঠানে নারীদের অনুপ্রেরণামূলক যাত্রাকে সম্মান জানাতে ‘পপ অফ কালার অনন্যা সম্মাননা ২০২৫’ প্রদান করা হয়। ১০টি ভিন্ন বিভাগে সেরা ১০ জন নারীকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সম্মাননা জয়ীদের মধ্যে ছিলেন- অঙ্কিতা ক্যাটাগরিতে ফারহানা শারমিন, অন্বেষা ক্যাটাগরিতে ফারহানা রাহমান, উজ্জ্বলা ক্যাটাগরিতে নিশীতা মিতু, অপর্ণা ক্যাটাগরিতে ওয়ালিনা চৌধুরী, স্বাতী ক্যাটাগরিতে মেনাল চৌধুরী এবং গুল রেহান শান্তা, ত্রিনেত্রা ক্যাটাগরিতে জেনিফার বিনতে হক, পূর্ণভা ক্যাটাগরিতে মৌনতা আলম মৌন, ইন্দ্রজালের আলো ক্যাটাগরিতে শারমিন আক্তার তপতী, সুকৃতি ক্যাটাগরিতে প্রমা আজিজ এবং বহ্নিশিখা ক্যাটাগরিতে সায়েদা সালেহা নূর লিসা।
এছাড়াও একই অনুষ্ঠানে ‘পপ অফ কালার সেরা নারী উদ্যোক্তা ২০২৫’ ক্যাটাগরিতে ১১ জন স্বপ্নবাজ নারীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যারা নিজেদের উদ্যোগকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যেতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।
সম্মাননা জয়ীদের মধ্যে ছিলেন- দেশীয় পণ্য ও হস্তশিল্প ক্যাটাগরিতে আফসানা রাশিদ, কসমেটিকস ক্যাটাগরিতে ফাতেমা খান সিঁথি, মেকআপ আর্টিস্ট ক্যাটাগরিতে সাদিয়া আফরোজ, রাঁধুনি ক্যাটাগরিতে ওয়াসিকা তাসনিম, পোশাক কাপড় ও ফ্যাশন ক্যাটাগরিতে মাইমুনা বিনতে রেজা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে রাজিয়া হক কনক, হোম ডেকর আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট ক্যাটাগরিতে দিলরুবা রূপা, জুয়েলারি এন্ড ব্যাগ ক্যাটাগরিতে তাসনিয়া আরা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যাটাগরিতে জিনিয়া আলম পূর্ণতা এবং ডিজিটাল সার্ভিস ক্যাটাগরিতে সাবিনা ইয়াসমিন।
কেবল সম্মাননা প্রদান নয়, এই আয়োজনকে কার্যকরী করতে নারীদের জন্য চারটি আকর্ষণীয় সেশনের আয়োজন করা হয়। এগুলো হলো- সফল উদ্যোক্তাদের গল্প ও তাঁদের সাফল্যের রহস্য- ‘প্রেরণার পথ-প্রদর্শক’, আধুনিক যুগের ডিজিটাল বিপণনে নারীর ভূমিকা- ‘ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়ার্কশপ’, সৌন্দর্যচর্চা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি- ‘স্কিন ও হেয়ার কেয়ার ওয়ার্কশপ’ এবং প্রফেশনাল মেকআপ ট্রেনিং- ‘মেকআপ ওয়ার্কশপ’।
পপ অফ কালার বিশ্বাস করে এই সেশনগুলো আগত নারীদের অনুপ্রেরণা ও দক্ষতা বিকাশে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নারীদের আত্মোন্নয়ন ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
নারী দিবসের এই গ্র্যান্ড আয়োজন সম্পর্কে পপ অব কালারের প্রতিষ্ঠাতা টিংকার জান্নাত মিম বলেন, ‘নারীর সাফল্য শুধু তার একার নয়, এটি গোটা সমাজের অগ্রগতির প্রতীক। আমরা এই উদযাপনের মাধ্যমে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে চাই।’
অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও পার্টনারদের মধ্যে ছিল- টাইটেল স্পন্সর ‘স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের জুঁই’, কো-স্পন্সর ‘ফার্ম ফ্রেশ ও মুন্নো সিরামিক’, ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ ‘শক্তিপ্লাস ও ডেইলি স্টার’, বেভারেজ পার্টনার ‘মোজো’, লজিস্টিক পার্টনার ‘ই-কুরিয়ার’, ফটোগ্রাফি পার্টনার ‘ড্রিম ওয়েভার’
এছাড়াও, ভেলা এস্থেটিক, সাজগোজ, তাহফিজ্জুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ড্যাজলিং ড্রেস বাই মাশরুফা, কোকো-সিসিমি, ড্রিম কিউর বাই ডক্টর নাফি, অ্যাটায়ার বাই চাঁদনি, নিউ মিলন ও হাশেম জুয়েলার্স, লা ভিলা ওয়েস্টার্ন হোটেল, সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট কক্সবাজার, ইন্তেসারসহ আরও অনেকে এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে।
দিনব্যাপী এই আয়োজন শেষ হয় ইফতার, নৈশভোজ ও ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে। নারীর অগ্রযাত্রার এই মহাযজ্ঞ যেন এক নতুন দিনের বার্তা দেয় যে- ‘নারী এখন শুধু পথচলা শিখছে না, সে পথ দেখাচ্ছেও!’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র দ বস প র টন র অন ষ ঠ ন স ফল য
এছাড়াও পড়ুন:
কম খরচে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: আসিফ নজরুল
দ্রুত সময়ের মধ্যে কম খরচে মামলা নিষ্পত্তি করে মানুষকে মামলার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, তিনটি লক্ষ্য নিয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের সংশোধন করা হচ্ছে। আগামী মাস থেকে এ সংশোধনের কাজ শুরু হবে। আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। গরীব মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (লিগ্যাল এইড ) কার্যালয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন (সংশোধন) অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার পক্ষ থেকে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশে প্রতি বছর ৫ লাখ মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে লিগ্যাল এইডে ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়। আগামীতে এই হার ২ লাখে নিয়ে যাওয়ার আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। এতে মামলার সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমবে। এজন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে। ছোট ছোট যেমন আপোষযোগ্য পারিবারিক মামলা, চেক ডিজঅনারসহ অন্যান্য মামলা আপসে বাধ্যতামুলক করা হবে।
তিনি বলেন, আদালতে মামলার যে অস্বাভাবিক চাপ, তা শুধুমাত্র বিচারিক কাঠামোকে নয়, ন্যায় বিচারপ্রাপ্তির সম্ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। এ চাপ কমাতে হলে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি পদ্ধতি আরও গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন মামলার চাপ কমানো সময়ের দাবি। এ জন্য মামলার আগে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামুলক করা গুরুত্বপুর্ণ।
দ্রুত সময়ে অল্প খরচে মামলার নিষ্পত্তি করতে সিভিল প্রসিডিউর কোড ইতিমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি সংস্কারের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এ সময় লিগ্যাল এইডের মামলা নিষ্পত্তিতে একজন বিচারকের জায়গায় ৩ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় অংশীজনদের মধ্যে বক্তব্যে দেন জাতীয় আইনগত প্রদান সংস্থার পরিচালক আজাদ সুবহানি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সায়েম খান প্রমুখ। এছাড়া চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা জেলার আইনজীবী সমিতি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ইউএনডিপি প্রতিনিধি, জিআইজেড প্রতিনিধি, আইএলও, ব্রাক, ব্লাস্ট ও প্রশিকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, লিগ্যাল এইডের প্রচারের ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি আছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ গরীব ও অসহায় মানুষ জানে না সরকারের এমন একটি আইনিসহায়তা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রচারের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিভাগীয় শহরে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে বলে মত দেন তারা।