শাহবাগ মোড়ে বাসের ধাক্কায় ট্রাফিক সহকারী শিক্ষার্থী আহত
Published: 24th, March 2025 GMT
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বাসের ধাক্কায় ট্রাফিক সহকারী এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. মেহেদী (২২)। আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শাহবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাস জব্দ ও চালককে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, মেহেদী ধানমন্ডি নিউ মডেল কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
শাহবাগ এলাকার দায়িত্বগত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো.
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ সার্জেন্ট আরও বলেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। এ ঘটনায় বিকল্প পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক মো. সোহেলকে (৩৫) আটক করা হয়েছে। আহত মেহেদির বাসা হাজারীবাগে। বাবার নাম চান মিয়া।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হব গ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’