রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বাসের ধাক্কায় ট্রাফিক সহকারী এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. মেহেদী (২২)। আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শাহবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাস জব্দ ও চালককে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, মেহেদী ধানমন্ডি নিউ মডেল কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন।

শাহবাগ এলাকার দায়িত্বগত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো.

রেজাউল হক বলেন, মেহেদী ট্রাফিক সহায়তাকারী হিসেবে ডিউটিরত অবস্থায় মিরপুরগামী বিকল্প পরিবহনের বাসের ধাক্কায় ডান পায়ে আঘাত পান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন জরুরি বিভাগে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ সার্জেন্ট আরও বলেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। এ ঘটনায় বিকল্প পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক মো. সোহেলকে (৩৫) আটক করা হয়েছে। আহত মেহেদির বাসা হাজারীবাগে। বাবার নাম চান মিয়া।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হব গ

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ