লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতিরা। হুতিদের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, তাঁদের যোদ্ধারা মার্কিন রণতরি ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যানেও হামলা করেছেন।

এ ছাড়া হুতিরা তেল আবিবে ইসরায়েলের একাধিক সামরিক ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালানোর দাবিও করেছে।

ওই মুখপাত্র বলেছেন, হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের জবাব দেওয়া অব্যাহত রাখবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বৃদ্ধির জবাব উত্তেজনা বৃদ্ধির মাধ্যমেই দেওয়া দেবে।

হুতির মুখপাত্র আরও বলেন, হুতিরা ইয়েমেনের কৌশলগত জলসীমায় ইসরায়েলি নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি অব্যাহত রাখবে। যত দিন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হবে এবং গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত হুতিরা ইসরায়েলি শত্রুর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।

চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে হুতিদের নিশানা করে ইয়েমেনে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।

আরও পড়ুনহুতিদের ওপর বড় ধরনের হামলা শুরু যুক্তরাষ্ট্রের১৬ মার্চ ২০২৫

ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং এর আশপাশের এলাকায় নতুন করে হামলার খবর জানিয়েছে হুতি–সংশ্লিষ্ট টেলিভিশন আল মাসিরাহ। সাদা প্রদেশের আল সালেমেও হামলা হয়েছে।

টেলিভিশন চ্যানেলটির খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় সাদা প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ১৭ বার বিমান হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুনইয়েমেনে হামলার পরিকল্পনা ভুল করে ফাঁস করল যুক্তরাষ্ট্র১৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ