হারের দায় নিয়ে দরিভাল বললেন, ‘হাল ছাড়ব না’
Published: 26th, March 2025 GMT
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ‘অসহায় আত্মসমর্পন’ করেছে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার মাঠে ৪-১ গোলে হেরেছে সেলেসাওরা। ৪১ বছর পর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এমন হারের স্বাদ পেল দরিভাল জুনিয়রের দল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় হারও এটি।
ম্যাচের পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়রও। জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে যে পরিকল্পনা তিনি নিয়েছিলেন তা কাজে লাগেনি। প্রথম মিনিট থেকেই আর্জেন্টিনা তাদের চাপে রাখে। এই হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন দরিভাল। তবে হাল ছাড়বেন না এই বার্তাও দিয়েছেন।
দরিভাল বলেন, ‘বড় হার। এটা স্বীকার করতেই হবে। কত বড় হার তাও আমি জানি। তবে আমার সন্দেহ নেই যে, আমরা একটা উপায় বের করতে পারবো। ফুটবলে আমার এতো বছরে, এতো অভিজ্ঞতার মধ্যে এটা সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। তবে আমি হাল ছাড়ছি না। কারণ ক্লাব পর্যায়ে দারুণ অর্জন আছে আমার।’
হারের পূর্ণ দায় মাথায় নিয়ে দরিভাল জানিয়েছেন, এমন হারের পর ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন থেকে সমর্থন আশা করা বোকামি, ‘সব দায় আমার। ম্যাচ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু প্রথম মিনিট থেকেই তা কাজে দেয়নি। প্রতি পর্যায়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে ছিল। আমি ব্রাজিলের ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।’
দরিভাল জানিয়েছেন, ম্যাচের শুরুতে গোল খেয়ে যাওয়ায় তারা চাপে পড়ে যায়। নয়তো আর্জেন্টিনার চার মিডফিল্ডার সামলানোর সব পরিকল্পনা হাতে ছিল তার, ‘আমরা সবসময় প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করি এবং সম্ভাব্য ম্যাচ পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা করি। আর্জেন্টিনার চার মিডফিল্ডারকে মার্ক করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। শুরুতে গোল খেয়ে আমরা চাপে পড়ে যাই। এমনকি ২-১ ব্যবধানের সময়ও আমরা ঠিক মতো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারিনি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন র দর ভ ল জ ন য়
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক