এবার ব্র্যান্ডের জুতার বাজার ভালো
Published: 26th, March 2025 GMT
রোজার ঈদের আর তিন-চার দিন বাকি। এ উপলক্ষে মানুষের কেনাকাটা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সময়ে এসে পোশাকের পাশাপাশি জুতার বেচাকেনাও জমে উঠেছে। বিশেষ করে ব্র্যান্ডের জুতার বেচাকেনা ভালো হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
কোম্পানিগুলো জানায়, জুতা বেচাকেনা এখন পর্যন্ত গত বছরের কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে। ঈদের সময় ক্রেতাদের একটি বড় অংশ সাধারণত শেষ দিকে জুতা কেনেন। তাই ব্র্যান্ডগুলো আশা করছে যে শেষ পর্যন্ত তাদের বেচাকেনায় গত বছরের চেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে।
গত দুদিনে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ডের জুতার দোকান ঘুরে দেখেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে শতাধিক নন-ব্র্যান্ডের জুতার দোকান রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানেই স্বল্পসংখ্যক ক্রেতা জুতা দেখছেন। এসব ছোট দোকানের বিক্রেতারা জানান, ব্র্যান্ডের নয়, এমন জুতার বিক্রি গত বছর ঈদের সময়ের তুলনায় খুব বেশি বাড়েনি।
অন্যদিকে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ব্র্যান্ডের জুতার দোকানগুলোতে ভিড় অনেক বেশি। ফলে তাদের বেচাকেনাও প্রত্যাশিত মাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। বসুন্ধরা সিটিতে জুতার ব্র্যান্ড অ্যাপেক্সের স্টোর ম্যানেজার রাশেদুর রহমান বলেন, শবে বরাতের পর থেকেই জুতার বেচাকেনা বৃদ্ধি পায়। চাঁদরাত পর্যন্ত এটি চলবে।
কোম্পানিগুলো কী বলছেদেশে জুতার বাজার কত বড়, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এই বাজারের ৩০ শতাংশের বেশি ব্র্যান্ডের জুতার দখলে। বাকিটা নন-ব্র্যান্ড, আঞ্চলিক ব্র্যান্ড ও আমদানি করা জুতার দখলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি প্রতিবছর ১২-১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। আর সারা বছরের বিক্রির ২৫-৩০ শতাংশ হয়ে থাকে ঈদুল ফিতরের সময়ে। এ কারণে ঈদ উপলক্ষে নতুন ধরনের ও নকশার জুতা আনেন অনেক বিক্রেতা। এই যেমন চলতি বছরে ঈদ সামনে রেখে আড়াই হাজার নকশার জুতা নিয়ে এসেছে অ্যাপেক্স। এ ছাড়া ব্র্যান্ডটির প্রায় ৯ হাজার নকশার জুতা সব সময় চলমান থাকে। তাদের বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা এখন ৫০৬।
পাশাপাশি এবার ৫০ হাজার টাকা দামের ১২ জোড়া জুতা এনেছে অ্যাপেক্স। এগুলো ভ্যানচুরিনী ব্র্যান্ডের। ইতিমধ্যে কয়েক জোড়া বিক্রি হয়েছে। এটি ইতালি থেকে আনা এবং সম্পূর্ণ হাতে তৈরি বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা।
অ্যাপেক্সের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ফিরোজ মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমরা পণ্যের দাম ধরে রাখতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও পণ্যের মান উন্নত করায় জোর দিয়েছি। সে জন্য বর্তমান কঠিন সময়েও বেচাবিক্রি খারাপ নয়। আশা করছি বিক্রিতে শেষ পর্যন্ত ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’
বসুন্ধরা সিটিতে বাটার বিক্রয়েকন্দ্রের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, রোজার এক সপ্তাহ আগে থেকে বিক্রি জমতে শুরু করে। প্রথম সপ্তাহে তা পড়ে যায়। এরপর আবার শুরু হয়। এবারের বিক্রি গতবারের চেয়ে ভালো। রাত ১২টা পর্যন্ত শোরুম খোলা। নতুন ১ হাজার ডিজাইন আনা হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার জুতা বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা তাঁর।
দেশের বাজারে ইতালিয়ান ব্র্যান্ড লোটো অনেক দিন ধরেই ব্যবসা করছে। তারা লি কুপারের জুতাও বিক্রি করে। বর্তমানে তাদের ২২২টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। টঙ্গীর মাজুখানে লোটোর নিজস্ব কারখানা রয়েছে। সেখানে তাদের মোট জুতার ৮০ শতাংশই উৎপাদন হয়। বাকিটা আমদানি করা হয়।
এবারের ঈদে পাঁচ শতাধিক নতুন নকশার জুতা এনেছে লোটো ও লি কুপার। লোটোর হেড অব মার্কেটিং আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি ভালো। আশা করছি শেষ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হবে। কারণ, রোজার ঈদে শেষ দিকে জুতা বিক্রি হয়।
জুতার পুরোনো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি নতুন ব্র্যান্ডও বাজারে এসেছে। রিফ ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস নামে দেশের বাজারে জুতার নতুন ব্র্যান্ড এনেছে টি কে গ্রুপ। বর্তমানে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা পাঁচ। জানতে চাইলে রিফ লেদারের পরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ক রয়ক ন দ র নকশ র জ ত প রথম আল শ ষ পর য প রব দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি