‘বরবাদ’ সিনেমার প্রদর্শন দেখতে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে গিয়েছিলেন নির্মাতা ও বোর্ড সদস্য কাজী হায়াত। সিনেমা দেখে বের হওয়ার সময় গেটে তাঁর গাড়ি আটকে রাখেন শাকিব খানের ভক্তরা। কাজী হায়াত গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে, ‘তুমি কে আমি কে, শাকিবিয়ান, শাকিবিয়ান’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বর্ষীয়ান এই নির্মাতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় ভক্তদের। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাজী হায়াতপুত্র চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুনকিছু দৃশ্যে আপত্তি, কাটছাঁট করে জমা পড়েছে ‘বরবাদ’২৫ মার্চ ২০২৫

ফেসবুক পেজে লাইভে কাজী মারুফ বলেন, ‘কাজী হায়াত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য। উনি যেটা করেছেন, তা একান্ত ওনার ব্যাপার। বা উনি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সেই ছবির ভালোর জন্যই নিয়েছেন, দেশের জন্য করেছেন।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড গেটে অবস্থান নেওয়া ভক্তদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের সময় ‘আমার মারুফেরও লোক আছে’ মন্তব্য করে আরও রোষানলে পড়েন কাজী হায়াত। এমনকি কাজী মারুফের ফেসবুক পেজের ইনবক্স ও মন্তব্যের ঘরে গালিগালাজসহ হুমকি আসতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে মারুফ বলেন, ‘মারুফের লোক আছে বলে বাবা বুঝিয়েছেন আমার দর্শক আছে। একসময় আমার দর্শক ছিল।’
মারুফ মনে করেন, এখনকার দর্শকেরা গল্পপ্রধান সিনেমা থেকে ভায়োলেন্স বেশি পছন্দ করেন। তাই তাঁরা মারুফের সিনেমা পছন্দ করবেন না। তাঁর কথায়, ‘এখনকার প্রজন্ম আমার সিনেমা দেখেনি, দেখলেও হয়তো পছন্দ করবে না। এখনকার দর্শক মারামারি পছন্দ করে, যার নজির দেশের চলমান অবস্থা। দেশে আছিয়ার মতো শিশুদের, এটা বলতেও আমার খারাপ লাগছে।’

কাজী মারুফ মনে করেন, নির্মাতাদের দায়বদ্ধতার জায়গা আছে। টাকার জন্য যা খুশি বানানো উচিত নয়। মারুফ বলেন, ‘অনেক কথা বলার আছে আমার। নির্মাতাদের সেল্ফ সেন্সরশিপ থাকা উচিত। দুইটা টাকার জন্য যা খুশি বানালাম, এটা কখনো উচিত নয়।’

‘বরবাদ’ সিনেমা কি রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার কপি? ছবি: কোলাজ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে নীলচক্র দেখতে বলছেন, কী আছে এই সিনেমায়?

সিনেমা হলে বসে বাবা সন্তানের হাত ধরছেন, এক তরুণী মুছছেন চোখের কোণ, পেছনের সারিতে একজন মা কানে কানে ছেলের সঙ্গে কিছু বলছেন; এমন দৃশ্য এখন দেখা যাচ্ছে ঈদের ‘নীলচক্র’ দেখতে গিয়ে।

দর্শক বলছেন ‘নীলচক্র’ শুধু বিনোদনের সিনেমা নয়, এটা সমাসাময়িক গল্পের এমন একটি সাসপেন্স থ্রিলার যা, এখনকার ইন্টারনেট প্রজন্মকে সচেতন করছে।

এই যেমন বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে বের হওয়া এক অভিভাবক ‘নীলচক্র’ সিনেমা দেখে বলছিলেন, ‘আমার মেয়ে মোবাইলে ব্যস্ত থাকে সবসময়, সেটা নিয়ে আমাদের অভিযোগের শেষ নেই। আজ একসঙ্গে আমরা সিনেমাটি উপভোগ করলাম। ইন্টারনেটের একটা ভুল কিভাবে আমাদের জীবন শেষ করে দিতে পারে সেটা দেখলাম। সিনেমা শেষে ও নিজে থেকে আমার কাঁধে মাথা রাখল। কিছু বলার ছিল না,শুধু অনুভব করলাম, ‘নীলচক্র’ আমাদের আরও কাছাকাছি এনে দিল।’

যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ‘নীলচক্র’ দেখে ফেরা একদল তরুণী বলছিলেন, ‘সিনেমাটি দেখে আমার মধ্যে সচেতনতা এসেছে। আমার একটা ব্যক্তিগত ভিডিও কিংবা ছবি আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে সেই ধারণা এলো। সিনেমায় আরিফিন শুভ দারুণ অভিনয় করেছেন, তাঁকে ও পরিচালককে ধন্যবাদ আমাদের দেশে আমার দেশের জন্য দরকারী এমন একটি গল্প নিয়ে সিনেমা করার জন্য।’

একজন মা এসেছিলেন সিনেমাটি দেখতে। তিনি বলছেন, ‘আমি সিনেমাটি দারুণ উপভোগ করেছি। আমাদের সমাজের জন্য খুব দরকারী গল্পের এই সিনেমা। আমার পরিবারে ছেলে ও মেয়ে আছে তরুণ। আমি তাঁদের নিয়ে এই সিনেমাটি আবার দেখব শুধুমাত্র সচেতনার জন্য।’ 
 
সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসায় ভাসছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। এই সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘এই গল্প এখনকার। ইন্টারনেট যুগে একটা অসাবধান ক্লিক পুরো জীবন বদলে দিতে পারে। এটাই দেখানো হয়েছে। সাহসী বলেই করেছি, দরকারি বলেই করেছি। অনেকেই সিনেমাটি প্লট দেখে প্রশংসা করছেন জেনে ভাল লাগছে। অভিভাবক হোন বা তরুণ, যারা অনলাইনে থাকেন, সবারই দেখা উচিত। চোখ বন্ধ রাখলে বিপদ থেমে থাকে না।’

একটা ক্লিক, একটা ভিডিও, আর তাতেই পাল্টে যাচ্ছে জীবনের গতিপথ। শহরজুড়ে ফাঁস হচ্ছে একের পর এক ব্যক্তিগত ভিডিও। অন্ধকার, আতঙ্ক আর টানটান উত্তেজনায় মোড়ানো এক সময়ের গল্প নিয়ে পরিচালক মিঠু খানের ‘নীলচক্র: ব্লু সার্কেল’ এ এবার পর্দায় ফিরছেন আরিফিন শুভ। তাঁর বিপরীতে আছে মন্দিরা চক্রবর্তী। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে নীলচক্র দেখতে বলছেন, কী আছে এই সিনেমায়?