নাটোরের লালপুরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মেয়ে ও বাবা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পাবনা-বনপাড়া মহাসড়কের উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন বগুড়া সদর উপজেলার কৈপাড়া এলাকার শাহারিয়ার শাকিল (৩৫) ও তাঁর ২ বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। এ দুর্ঘটনায় শাহারিয়ারের স্ত্রী আয়শা আক্তার (২৬) ও গাড়িচালক আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ জানায়, যশোর থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেট কারটি উপজেলার গোধরা এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। প্রাইভেট কারটি রাস্তার পাশের একটি বাবলাগাছে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শাকিল ও সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত অবস্থায় আয়শা হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন। প্রাইভেট কারের চালককে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এলে লাশ হস্তান্তরসহ আইনানুগ কার্যক্রম শুরু হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বনপ ড়

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ