মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ধসে পড়ল ঔপনিবেশিক আমলের সেতু
Published: 28th, March 2025 GMT
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ইরাবতী নদীর ওপর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত আভা সেতু ধসে পড়েছে। আজ শুক্রবার দেশটিতে পরপর দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ ঘটনায় দেশটির বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডেও।
৯১ বছর বয়সী আভা সেতু পুরোনো সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত। এটি মিয়ানমারের মান্দালয় ও সাগাইং অঞ্চলে ইরাবতী নদীর ওপর বিস্তৃত। আজ স্থানীয় সময় বিকেলে ভূমিকম্পে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সাগাইং শহরের কাছে। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের মান্দালয়, নেপিডো এবং অন্যান্য এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে। ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত বেশি তীব্রতার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মান্দালয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশে এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট অঞ্চলে রাতে ৫ মিনিটে দুই দফায় মৃদু ভূমিকম্প
সিলেট ও মৌলভীবাজারে গত বুধবার মধ্যরাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই দফায় ভূমিকম্প হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। দুটো ভূমিকম্পই ছিল হালকা মাত্রার। এ অঞ্চলে প্রায় প্রতি মাসেই এমন ভূমিকম্প হয় বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির। তিনি বলেছেন, এই ভূমিকম্প নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, গত মধ্যরাত ২টা ৫০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথম ভূমিকম্পটি হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের বিয়ানীবাজার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫।
এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাত ২টা ৫৫ ১৪ সেকেন্ডে আরেকবার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মৌলভীবাজারের বড়লেখা।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটের এসব অঞ্চলে এসব স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প প্রায় প্রতি মাসে হয়। সিলেট, ভারতের ত্রিপুরা এসব এলাকায় এমনটা হয়ে মাঝে মাঝে। তাই এ নিয়ে ভীতির কিছু নেই।
গত ২১ নভেম্বর (শুক্রবার) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শুক্রবারের ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হয়। আহত হয় ছয়শ’র বেশি মানুষ।