Samakal:
2025-11-02@17:21:17 GMT

হাতের টানেই উঠে যায় কার্পেটিং

Published: 28th, March 2025 GMT

হাতের টানেই উঠে যায় কার্পেটিং

আমতলীতে সড়কের নির্মাণকাজ এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে হাত দিয়ে টানলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ চিত্র দেখা গেছে চাওড়া ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে কাউনিয়া ইসমাইল মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রাখেন।
তবে সড়ক নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়নি দাবি করেছেন দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন। 
২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল চাওড়া ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে কাউনিয়া ইসমাইল মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয় থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ টাকার কাজটি পায় বরগুনার রহমান ট্রেডার্স। ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর শেষ করার কথা ছিল। শুরুতেই ঠিকাদার শাহিন তালুকদারের বিরুদ্ধে কম উপকরণ ও নিম্নমান সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে। ৫ ইঞ্চি বেজমেন্টে বালু মিশ্রিত খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও কাদা মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার সড়কে খোয়া ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান। চলতি বছর মার্চ মাসে আবার কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে ময়লা এবং কাদার আস্তরণে খোয়া ঢেকে যায়। কাদার আস্তরণের ওপরই কার্পেটিং শুরু হয়। কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ৪০ মিলিমিটার হওয়ার কথা। দেওয়া হয়েছে ২০-২৫ মিলিমিটার। বিটুমিনও কম দেওয়া হয়েছে। দায়সারাভাবে গত ২২ মার্চ কাজ শেষ করে ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ টাকা বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।
শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সাত দিন পেরিয়ে গেলেও কার্পেটিং নরম অবস্থায় রয়েছে। এ সময় ক্ষিপ্ত গ্রামের বাসিন্দারা হাত দিয়ে টান দিলে পুরো সড়কের কার্পেটিং উঠে যায়।
কাউনিয়া গ্রামের শিক্ষক কামাল গাজীর অভিযোগ, ঠিকাদার সড়কের কাজে শুরু থেকেই দুর্নীতি করেছেন। নিম্নমানের খোয়া, কাদামিশ্রিত বালু, ভেজাল ক্রাশিন ও পোড়া মবিল মিশ্রিত বিটুমিন ব্যবহার হয়েছে সড়কে। পরিমাণেও কম দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করায় হাতের টানেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। 
ঠিকাদার শাহিন তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কার্পেটিং শক্ত হয়েছে। স্থানীয়রা শত্রুতা করে দা-খুন্তি দিয়ে খুচিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো.

ইদ্রিস বলেন, ১০ পার্সেন্ট জামানত বাদে এখনও ঠিকাদারকে ১১ লাখ টাকা বিল দেওয়া হয়নি। সড়ক নির্মাণে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক র সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ