ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আজ শনিবারও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তবে যানজট নেই কোথাও।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকার।

আজ সকালে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এবার ঈদের ছুটি শুরুর পর গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার ও সর্বোচ্চ টোল আদায় হলো।

আজ সকালে মহাসড়কে সরেজমিন দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু কোথাও কোনো যানজট নেই। নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পেরে অনেক খুশি ঘরমুখী মানুষ। এলেঙ্গায় একটি সিএনজি স্টেশনে কথা হয় গাজীপুরের কোনাবাড়ীর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদে বাড়ি ফিরতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু এবার সেই দুর্ভোগ নেই। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে মাত্র এক ঘণ্টায় এলেঙ্গায় চলে এসেছেন।

পিকআপ ভ্যানের আরোহী রাইছুল ইসলাম জানান, ঈদে বাড়ি ফিরতে অনেকবার যানজটে সাহ্‌রি, ইফতার রাস্তায় করতে হয়েছে। এবার নির্বিঘ্নে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ বাড়ি ফিরে ইফতার করতে পারবেন।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, গত তিন থেকে চার দিন যে হারে যানবাহন এ সড়কে চলাচল করেছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, অধিকাংশ মানুষ বাড়ি পৌঁছে গেছে। আজ বিকেল থেকে যানবাহনের চাপ কমতে পারে।

যমুনা সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন ৩০ হাজার ৩৯৮টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টার (বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা) তুলনায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ১৩ হাজার ১০৮টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়েছে। এতে ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ৪০০ টাকার টোল আদায় বেশি হয়েছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুপাশেই মোটরসাইকেলের জন্য দুটি আলাদা বুথ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র র ত ১২ট প র হয় ছ য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ