বিজ্ঞাপনচিত্রের ‘থিম সং’ থেকে দেশের মানুষের ঘরে ফেরার ‘থিম সং’–এ পরিণত হয়েছে গানটি। ২০০৯ সালে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনের জন্য গানটি লেখেন গ্রামীণফোনের তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মাহজাবিন। হাবির ওয়াহিদের সুর ও সংগীতায়োজনে গানটি কণ্ঠে তোলেন শিল্পী মিলন মাহমুদ।

কোনো বিজ্ঞাপনচিত্রের ‘থিম সং’ আলাদাভাবে গান হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার নজির নেই বললেই চলে। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ প্রকাশের দেড় দশক পর আজও গানটির আবেদন ফুরায়নি। গানটির কথা ও সুরের মায়াজালে ঘরে ফেরার আকুলি–বিকুলি উঠে এসেছে।
এবার ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে গানটি নিয়ে চর্চা চলছে, যাত্রাপথের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অনেকেই লিখছেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’। কেউ কেউ গানটি শেয়ার করে গানটি ঘিরে নিজের অনুভূতির কথা লিখছেন।

এবার ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে গানটি নিয়ে চর্চা চলছে, যাত্রাপথের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অনেকেই লিখছেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’। কেউ কেউ গানটি শেয়ার করে গানটি ঘিরে নিজের অনুভূতির কথা লিখছেন।‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ বিজ্ঞাপনচিত্রের দৃশ্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ