ঘোরাঘুরি শেষে বাসায় ফিরে ত্বকের যত্নে করণীয়
Published: 31st, March 2025 GMT
ঈদে বাইরে অনেক ঘোরাফেরা করার সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু বাইরের ধুলোবালি আর রোদের তাপে মুখের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মুখের ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ত্বকের আলাদা যত্ন নিতে হবে। ঠিকমতো ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বকের ব্রণ এবং পোড়াদাগ দেখা দিতে পারে।
ডা. রেবেকা সুলতানা লিজা, অ্যায়েসথেটিক ডার্মাটোলজিস্ট একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বাইরে থেকে এসে প্রথম ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন। এরপর মুখ পরিষ্কার করবেন। যারা মুখে ভারী মেকআপ দেবেন তারা চেষ্টা করবেন মেকআপ ক্লিনজার দিয়ে আগে মেকআপ তুলে ফেলার জন্য। অথবা অলিভ অয়েল দিয়েও মেকআপ তুলে নিতে পারেন। এরপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ক্লিন করে নিতে হবে।’’
রেবেকা সুলতানা আরও বলেন, ‘‘ঘোরাঘুরি শেষে ঘরে ফিরে পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের আদ্রতা ঠিক থাকবে। বাইরে থাকার ফলে রোদে, তাপে অনেক ঘাম হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম হলে ঘরে ফিরে স্যালাইনও খেতে পারেন।’’
যারা বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হবেন তাদের জন্য রয়েছে ভিন্ন নির্দেশনা। বাইক নিয়ে বের হলে মাথায় ধুলাবালি জমতে পারে। মাথায় ময়লা জমে থাকলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। খুকশি হতে পারে। এমনকি মাথায় ময়লা জমে থাকলে মুখের ত্বকেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাদের ক্ষেত্রে রেবেকা সুলতানার পরামর্শ, বাসায় ফিরে শাওয়ার নেবেন। এবং অবশ্যই অবশ্যই শ্যাম্পু করবেন।
বাইরে থেকে অনেক ঘেমে বাসায় ফিরে যদি গোসল না করেন, তাহলে চুলকানি, ঘামাচি অথবা ছত্রাকে আক্রান্ত হতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত বক র ম কআপ
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।