মুক্তির একদিন পরই মাল্টিপ্লেক্সে শো বাড়ল জংলির
Published: 1st, April 2025 GMT
মুক্তির একদিন পরই মাল্টিপ্লেক্সে শো বাড়লো এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমার। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি। তিনি জানান, ঈদের ছবির সর্বাধিক ভাইব থাকলেও মুক্তির প্রথম মাল্টিপ্লেক্সে আমাদের শো কম দেওয়া হয়েছিল। জানিনা সেটা কি কারণে। এমনটি সিনেপ্লেক্সের সিমান্ত সম্ভার শাখায় বিশাল বড় বিলবোর্ড টাঙালেও সে শাখাতে কোনো শো রাখা হয়নি। কিন্তু আজ সীমান্ত সম্ভারের শাখাতে সকাল ১১টা ও বিকেল ৪টায় দুটি শো দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যমুনা ব্লকবাস্টারেও একটি শো বেড়েছে। মুক্তির একদিন পর জংলির শো এবং হল বাড়ার খবরটি জংলি টিমের জন্য আনন্দের।
প্রযোজক আরও জানান, প্রথম দিন শো কম থাকলেও আজকে হল বেড়েছে একটি আর শো বেড়েছে তিনটি। এখন সারা দেশের মাল্টিপ্লেক্সে সর্বামোট ১৮টি শো চলছে। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ শাখায় ৩টি, মিউজিয়াম শাখায় ২টি, সীমান্ত সম্ভার শাখায় ২টি, উত্তরা শাখায় ২টি ও চট্টগ্রাম শাখায় ৩টি করে শো চলছে। অন্যদিকে ব্লকবাস্টার সিনেমাস শাখায় ৩ টি ও লায়ন সিনেমায় ৩টি করে শো চলছে।
শো বাড়ানোর বিষয়টির স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদও নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্টার সিনেপ্লেক্স সবসময় বাংলা ছবি সর্বাধিক প্রায়োরিটি দিয়ে প্রদর্শন করে থাকে। তবে শো বাড়া বা কমার বিষয়টি টুটালই নির্ভর করে দর্শকদের চাহিদার উপর। আমরা দর্শকদের চাহিদাকে সর্বাধিক মূল্যায়ন করি।
যমুনায় শো বাড়ার বিষয়টি যমুনা ব্লকবাস্টারের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী ম্যানেজার মাহবুবুর রহমানও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জংলি সিনেমা মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছন সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দীঘি। শিশু শিল্পী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নৈঋতা। মুক্তির পর দিন থেকেই সিনেমাটির গল্প ও আর্টিস্টদের অভিনয় দারুণ ভাবে প্রংশিত হচ্ছে।
জংলি সিনেমার সব গানের সংগীত পরিচালনা করছেন প্রিন্স মাহমুদ। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে ফারইস্টকে বিদায় করে এআইইউবিকে ফাইনালে তুললেন রাজীব
ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি)।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ প্রথম সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের গত আসরের রানার্সআপ এআইইউবি জিতেছে রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের রানার্সআপ ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপক্ষে নির্ধারিত ৭০ মিনিটে ম্যাচটি ছিল ২-২ সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে এআইইউবি জেতে ৬-৫ গোলে।
টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ের টিকিট পেয়েছে এআইইউবি। নির্ধারিত সময়ে দুবার পিছিয়ে ম্যাচে ফিরেছে তারা, টাইব্রেকারেও একপর্যায়ে পিছিয়ে ছিল দলটি। টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে এআইইউবিকে ফাইনালে তুলে নেন গত মৌসুমে দেশের শীর্ষ লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলা গোলকিপার রাজীব ইসলাম।
জাতীয় স্টেডিয়ামে গোটা ম্যাচজুড়েই ছিল টান টান উত্তেজনা। টাইব্রেকারে প্রথম চারটি শটে দুই দলই গোল করে। এআইইউবির আজিজুল হক অনন্তর নেওয়া পঞ্চম শট পোস্টে লাগে। এরপর এআইইউবির গোলকিপার রাজীব প্রতিপক্ষ গোলকিপার আরমান হোসেনের শট আটকে দলকে ম্যাচে রাখেন। তখন স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪।
এরপর সাডেন ডেথের প্রথম শটে দুই দলই গোল করে, ৫-৫। কিন্তু সাডেন ডেথে ষষ্ঠ শটে এআইইউবি গোল করলেও ফারইস্টের সালমান গোল করতে পারেননি। তাঁর শট আটকে দেন এআইইউবির গোলকিপার রাজীব। আরমান ও সালমান দুই ভাই।
দুজনই টাইব্রেকারে শট মিস করেন। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জেতে এআইইউবি।
ফারইস্টের দুর্ভাগ্য, দুবার এগিয়ে গিয়েও এবং টাইব্রেকারে লিড নিয়েও তারা জিততে পারেনি। পারেনি এআইইউবির গোলকিপার রাজীব ইসলামের দৃঢ়তায়। জয়ের পর গোলকিপার রাজীবকে নিয়ে এআইইউবি মেতে ওঠে উল্লাসে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন এআইইউবির জয়ের নায়ক রাজীব।
মূল ম্যাচে এআইইউবির প্রাধান্য ছিল। তবে নির্ধারিত ৭০ মিনিটে তারা জিততে পারেনি। ৩০ মিনিটে গোল করে ক্ষয়িষ্ণু শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামা ফারইস্টকে এগিয়ে দেন ব্রাদার্সের ফরোয়ার্ড মেরাজ প্রধান।
বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে প্লেসিং করেন তিনি। ৪৪ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন এআইইউবির আরিফুল হক। ৫৪ মিনিটে আবার গোল করে ফারইস্টকে এগিয়ে নেন মেরাজ। তবে দ্রুতই সেই গোল শোধ হয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে গোলাম রাব্বি গোল করে ম্যাচে ২-২ সমতা ফেরান। এরপর ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে, যেখানে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে এআইইউবি।
ফারইস্ট আজ তাদের কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়কে পায়নি। বাংলাদেশ লিগে খেলা থাকায় খেলতে পারেননি আবাহনীর ফরোয়ার্ড আসাদুল মোল্লা, একই দলের গোলকিপার পাপ্পু হোসেন, পুলিশের মিডফিল্ডার এমএস বাবলু, ফকিরেরপুলের ফরোয়ার্ড স্বাধীন হোসেন, প্রথম বিভাগের ডিফেন্ডার লিহান উদ্দিন এবং অধিনায়ক আল আমিন ও সেনাবাহিনীর গোলকিপার আশরাফুল।
ফারইস্ট পেয়েছে প্রিমিয়ার লিগে খেলা শুধু মেরাজকে। সেই মেরাজ দুই গোল করেও দলকে জেতাতে পারেননি।
অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগের আরামবাগের মিডফিল্ডার ওমর ফারুক মিঠু ও আক্কাস আলী, মোহামেডানের স্ট্রাইকার সৌরভ দেওয়ান, ডিফেন্ডার আজিজুল হক ও জাহিদ হাসানকে পেয়েছে এআইইউবি। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় খেলতে পারেননি রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আলফাজ মিয়া।
ম্যাচসেরার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান ও জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. মঞ্জুর ই খোদা তরফদার, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের বিপণন মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য, জাহিদ হাসান এমিলি ও মামুনুল ইসলাম।
গত বছর ফাইনালে এআইইউবি হেরে যায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কাছে। এবার তাদের ফাইনালের প্রতিপক্ষ হবে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল। ম্যাচটি আজই জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।