মুক্তির একদিন পরই মাল্টিপ্লেক্সে শো বাড়লো এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমার। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি। তিনি জানান, ঈদের ছবির সর্বাধিক ভাইব থাকলেও মুক্তির প্রথম মাল্টিপ্লেক্সে আমাদের শো কম দেওয়া হয়েছিল। জানিনা সেটা কি কারণে। এমনটি সিনেপ্লেক্সের সিমান্ত সম্ভার শাখায় বিশাল বড় বিলবোর্ড টাঙালেও সে শাখাতে কোনো শো রাখা হয়নি। কিন্তু আজ সীমান্ত সম্ভারের শাখাতে সকাল ১১টা ও বিকেল ৪টায় দুটি শো  দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যমুনা ব্লকবাস্টারেও একটি শো বেড়েছে।  মুক্তির একদিন পর জংলির শো এবং হল বাড়ার খবরটি জংলি টিমের জন্য আনন্দের। 

প্রযোজক আরও জানান, প্রথম দিন শো কম থাকলেও আজকে হল বেড়েছে একটি আর  শো বেড়েছে তিনটি। এখন সারা দেশের মাল্টিপ্লেক্সে সর্বামোট ১৮টি  শো চলছে। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ শাখায় ৩টি, মিউজিয়াম শাখায় ২টি, সীমান্ত সম্ভার শাখায় ২টি, উত্তরা শাখায় ২টি ও চট্টগ্রাম শাখায় ৩টি করে শো চলছে। অন্যদিকে ব্লকবাস্টার সিনেমাস শাখায় ৩ টি ও লায়ন সিনেমায় ৩টি করে শো চলছে।  

শো বাড়ানোর বিষয়টির স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদও নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্টার সিনেপ্লেক্স সবসময় বাংলা ছবি সর্বাধিক প্রায়োরিটি দিয়ে প্রদর্শন করে থাকে। তবে শো বাড়া বা কমার বিষয়টি টুটালই নির্ভর করে দর্শকদের চাহিদার উপর।  আমরা দর্শকদের চাহিদাকে সর্বাধিক মূল্যায়ন করি। 

যমুনায় শো বাড়ার বিষয়টি  যমুনা ব্লকবাস্টারের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী ম্যানেজার মাহবুবুর রহমানও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। 

জংলি সিনেমা মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছন সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দীঘি। শিশু শিল্পী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নৈঋতা। মুক্তির পর দিন থেকেই সিনেমাটির গল্প ও আর্টিস্টদের অভিনয় দারুণ ভাবে প্রংশিত হচ্ছে। 

জংলি সিনেমার সব গানের সংগীত পরিচালনা করছেন প্রিন্স মাহমুদ।  সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ