মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২ হাজার ৭১৯ জন হয়েছে। সহায়তা গোষ্ঠীগুলো বলছে, যারা বেঁচে আছেন, তাদের নেই কোনো আশ্রয়, খাদ্য ও পানি। দেশটিতে গৃহযুদ্ধের ফলে সহায়তা ঠিকমতো পৌঁছানো যাচ্ছে না।

আজ মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেন, শক্তিশালী ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৯ জন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, এই দুর্যোগে ৪ হাজার ৫২১ জন আহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন ৪৪১ জন। খবর রয়টার্সের

গত ২৮ মার্চ (শুক্রবার) মিয়ানমারে শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশে এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।

ভূমিকম্পে পাশের দেশ থাইল্যান্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে তিনটি বহুতল ভবন ধসে পরে কয়েকশ’ মানুষ নিখোঁজ হন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয় অফিস জানিয়েছে, মিয়ানমারের মান্দালয় এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধসে গেছে, সেখানে ৫০ জন শিক্ষক ও দুইজন শিক্ষক ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট অঞ্চলে রাতে ৫ মিনিটে দুই দফায় মৃদু ভূমিকম্প

সিলেট ও মৌলভীবাজারে গত বুধবার মধ্যরাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই দফায় ভূমিকম্প হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। দুটো ভূমিকম্পই ছিল হালকা মাত্রার। এ অঞ্চলে প্রায় প্রতি মাসেই এমন ভূমিকম্প হয় বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির। তিনি বলেছেন, এই ভূমিকম্প নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, গত মধ্যরাত ২টা ৫০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথম ভূমিকম্পটি হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের বিয়ানীবাজার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫।

এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাত ২টা ৫৫ ১৪ সেকেন্ডে আরেকবার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মৌলভীবাজারের বড়লেখা।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটের এসব অঞ্চলে এসব স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প প্রায় প্রতি মাসে হয়। সিলেট, ভারতের ত্রিপুরা এসব এলাকায় এমনটা হয়ে মাঝে মাঝে। তাই এ নিয়ে ভীতির কিছু নেই।

গত ২১ নভেম্বর (শুক্রবার) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শুক্রবারের ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হয়। আহত হয় ছয়শ’র বেশি মানুষ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মধ্যরাতে সিলেটে ২ দফা ভূমিকম্প
  • সিলেট অঞ্চলে রাতে ৫ মিনিটে দুই দফায় মৃদু ভূমিকম্প