Samakal:
2025-06-16@03:31:57 GMT

হল থেকে হলে ছুটছেন তারকারা

Published: 2nd, April 2025 GMT

হল থেকে হলে ছুটছেন তারকারা

সারা বছর দর্শকখরা গেলেও ঈদে সিনেমা হলে থাকে উপচে পড়া ভিড়। এবার ঈদের দিন থেকে প্রেক্ষাগৃহে ৬টি সিনেমার প্রদর্শনী হচ্ছে। সিনেমাগুলো হলো- ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’ ‘জ্বীন-৩’, ‘চক্কর’, ও ‘অন্তরাত্মা’। এবার দুই একটি ছাড়া প্রতিটি সিনেমাই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। তাই নিজেদের সিনেমার দিকে দর্শক টানতে তারকাদের দৌড়ঝাঁপটাও এবার বেশি।

ঈদের দিন থেকেই বিভিন্ন হলে ছুটে যাচ্ছেন আফরান নিশো, সিয়াম আহমেদ, তমা মির্জা, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দিঘীরা। রাজধানীর বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ঘুরে তাঁরা দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তারা। 

ঈদের দিন রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে দর্শকের সঙ্গে ‘জংলি’ সিনেমা উপভোগ করেন সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দিঘী। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা। ঈদের দ্বিতীয় দিন পরিবার নিয়ে সিনেমাটি দেখেছেন তিনি। আজ বিকেলে যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি দেখবেন ‘জংলি’ টিম।

একই দিন বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে দর্শকের সঙ্গে নিজের ‘দাগি’ সিনেমা দেখেছে আফরান নিশোসহ সিনেমাটির কলাকুশলীরা। দ্বিতীয় দিন সনি স্কয়ারে ছিলেন আফরান নিশো ও তমা মির্জারা। আজ সন্ধ্যায় যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দর্শকের মতবিনিময় করবে ‘দাগি’ টিম।

এছাড়া নিজেদের সিনেমায় দর্শক টানতে থেমে নেই ‘চক্কর’ সিনেমার কলাকুশলীরা। পায়ের অস্ত্রোপচারের কারণে প্রথম দুইদিন হলে উপস্থিত থাকতে পারেননি অভিনেতা মোশাররফ করিম। তবে তার হয়ে হলে হলে ঘুরছেন ‘চক্কর’ সিনেমার পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবন, অভিনেতা রওনক হাসান ও শাশ্বত দত্তরা। আজ পায়ের সমস্যা নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে উপস্থিত হন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, অভিনেত্রী সুমন আয়োয়ারসহ সিনেমার কলাকুশলীরা।

এছাড়া সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন আব্দুন নুর সজলসহ ‘জ্বীন ৩’ সিনেমা কলাকুশলীরা। হল থেকে হলে ছুটছেন তিনি। তবে এই সিনেমার প্রচারে এখন পর্যন্ত অংশ নিতে দেখা যায়নি নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে।

এদিকে গত ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি শাকিব খানের ‘দরবাদ’ সিনেমার তারকাদের। তবে এই সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক ছুটে বেড়াচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন হলে। তবে শোনা যাচ্ছে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করবেন তিনি।  

এবারের ঈদে তেমন কেনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও বেফাঁস কথা বলতে দেখা যায়নি কাউকেই। তবে গতকাল পাইরেসির অভিযোগে গুলশান থানায় হাজির হয়েছিলেন সিনেমাটির পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয় ও প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি।

বরবাদের পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয় বলেন, একজন প্রযোজক এতো টাকা বিনিয়োগ করে সিনেমা করেন আর পাইরেসি করায় সব শেষ হয়ে যায়। এভাবে তো চলতে পারে না। সিনেমা হল মালিকদের বলতে চাই আপনারা একটু দেখবেন সিনেমা পাইরেসি হয় কিনা। শো চলার সময় কেউ যেন ফোন ব্যবহার করে কপি না করে সে দিকে নজর দেন। যারা পাইরেসি করছেন তাদের দ্রুত সময়ের ব্যবধানে গ্রেপ্তার করা হবে এটা আমাদের বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ আফর ন ন শ ঈদ র দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ