রামপুরায় সাংবাদিককে হেনস্থার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 3rd, April 2025 GMT
রামপুরা থানা এলাকায় নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি ও হেনস্থার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিসানসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে র্যাবের সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনদ বড়ুয়া এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে ঢাকার রামপুরা এলাকায় যৌন হয়রানি সংক্রান্ত একটি ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। বিষয়টি র্যাব-৩ এর নজরে আসলে তাৎক্ষণিক ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ বিষয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখিত এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ এর একাধিক গোয়েন্দা ও অপারেশনাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি সোয়েব রহমান জিসানকে রামপুরা থানার মেরাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যে রমনা থানার বেইলি রোড এলাকা থেকে মো.
গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে একটি ইংরেজি দৈনিকের নারী সংবাদকর্মী তার ছোট ভাইকে নিয়ে বনশ্রী ই-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের মুখে একটি জুসের দোকানে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করেন। এতে তার ভাই প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর করেন। এ সময় ওই নারী সংবাদকর্মী বাধা দিতে গেলে তারা তাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। গতকাল রাতে ওই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা/এমআর/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’