শচীন কন্যা সারা এখন ক্রিকেট দলের মালিক
Published: 3rd, April 2025 GMT
নতুন এক ভূমিকায় দেখা গেল সারা টেন্ডুলকারকে। কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের কন্যা এবার যুক্ত হলেন ক্রিকেটের সঙ্গে ভিন্নভাবে। তিনি মালিকানা কিনেছেন একটি টি-টোয়েন্টি দলের, তবে সেটা বাস্তবের ক্রিকেটে নয়, বরং ই-স্পোর্টসে!
সারা ‘গ্লোবাল ই-ক্রিকেট প্রিমিয়ার লিগ’-এ মুম্বাইয়ের দলের মালিকানা নিয়েছেন। জনপ্রিয় মোবাইল গেম ‘রিয়াল ক্রিকেট’-এ অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। লিগটির প্রথম দুই মৌসুমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রথম মৌসুমে ২ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল, যা দ্বিতীয় মৌসুমে বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ১০ হাজারে। তৃতীয় মৌসুমে অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ই-ক্রিকেট লিগ সম্প্রচার করা হয় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, যার মধ্যে রয়েছে জিও সিনেমা, স্পোর্টস ১৮ এবং স্টার স্পোর্টস। এবার ধারণা করা হচ্ছে, হটস্টারেও দেখা যাবে এই লিগের ম্যাচগুলো।
নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত সারা বলেন, ‘ক্রিকেট আমাদের পরিবারের রক্তে মিশে আছে। ই-স্পোর্টস খুবই আকর্ষণীয়, আর গ্লোবাল ই-ক্রিকেট প্রিমিয়ার লিগে মুম্বাইয়ের দলের মালিক হতে পারা আমার জন্য স্বপ্নপূরণের মতো। আমি নতুন প্রতিভাদের সঙ্গে কাজ করতে এবং একটি শক্তিশালী দল গড়ে তুলতে চাই। আশা করি, আরও অনেকেই এই খেলায় আগ্রহী হবে।’
টেন্ডুলকার পরিবারের সদস্যরা বরাবরই ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। শচীন এখনও লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন এবং আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টরের ভূমিকা পালন করছেন। সারার ভাই অর্জুন টেন্ডুলকারও পেশাদার ক্রিকেটার, যিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন গোয়ার হয়ে। এবার পরিবারের আরও একজন ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হলেন নতুনভাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স প র টস
এছাড়াও পড়ুন:
বাসাবাড়িতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু নিয়োগ বন্ধে আইন করার সুপারিশ
বাসাবাড়ির কাজে তথা গৃহকর্মে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ বন্ধে কঠোর আইন করার পাশাপাশি কার্যকরভাবে তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন।
বাংলাদেশ জাতীয় শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজ করানো হলে তা শিশুশ্রমের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণনীতি ২০১৫-তে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে গৃহকর্মে নিয়োগ করা যাবে না।
শ্রম সংস্কার কমিশন এ প্রসঙ্গে বলেছে, গৃহকর্মে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ বন্ধে কঠোর আইন করতে হবে। একই সঙ্গে এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়নেও গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, সেখানে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহশ্রমিকদের বাংলাদেশ শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিতে হবে। এর আগপর্যন্ত নিশ্চিত করতে হবে ‘গৃহকর্মীর কল্যাণ ও সুরক্ষা নীতিমালা–২০১৫’–এর যথাযথ বাস্তবায়ন।
নিয়োগের ক্ষেত্রে আবাসিক, অনাবাসিক, খণ্ডকালীন বা স্থায়ী—সব ধরনের গৃহশ্রমিকদের জন্য কর্মঘণ্টা, বেতন, ছুটি, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুবিধা উল্লেখ করে একটি স্বচ্ছ ও নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্মসংস্থান চুক্তি প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে শ্রমিকের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি কার বরাবর, কোন স্থানে এবং কীভাবে দায়ের করবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
গৃহশ্রমিকদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মাধ্যমে গৃহকর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া গৃহকর্মীদের সংগঠন বা ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদানেরও সুপারিশ করেছে কমিশন।
পারলারের কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নেওয়ার পরামর্শ
এদিকে বিউটি পারলার খাতের শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে এ খাতের কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র বা ডে কেয়ার সুবিধা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতের কথা বলেছে কমিশন।
অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ খাতে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনের সুপারিশও করেছে কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মীদের কাজের মান ও ঝুঁকি বিবেচনা করে সুনির্দিষ্ট মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা এবং তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি কাঠামো তৈরি করতে হবে।
দেশের সব বিউটি পারলার শ্রমিকদের পেশাগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা সুরক্ষার জন্য শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।
বিউটি পারলারের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করাসহ সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা নির্দেশিকা প্রণয়নের কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিউটি পারলারের কর্মীদের বড় একটি অংশ রাতে বাসায় ফেরে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে ও রাত্রিকালীন বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের হয়রানি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব শ্রমিকের সামাজিক মর্যাদা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।