নতুন এক ভূমিকায় দেখা গেল সারা টেন্ডুলকারকে। কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের কন্যা এবার যুক্ত হলেন ক্রিকেটের সঙ্গে ভিন্নভাবে। তিনি মালিকানা কিনেছেন একটি টি-টোয়েন্টি দলের, তবে সেটা বাস্তবের ক্রিকেটে নয়, বরং ই-স্পোর্টসে!  

সারা ‘গ্লোবাল ই-ক্রিকেট প্রিমিয়ার লিগ’-এ মুম্বাইয়ের দলের মালিকানা নিয়েছেন। জনপ্রিয় মোবাইল গেম ‘রিয়াল ক্রিকেট’-এ অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। লিগটির প্রথম দুই মৌসুমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রথম মৌসুমে ২ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল, যা দ্বিতীয় মৌসুমে বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ১০ হাজারে। তৃতীয় মৌসুমে অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।  

এই ই-ক্রিকেট লিগ সম্প্রচার করা হয় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, যার মধ্যে রয়েছে জিও সিনেমা, স্পোর্টস ১৮ এবং স্টার স্পোর্টস। এবার ধারণা করা হচ্ছে, হটস্টারেও দেখা যাবে এই লিগের ম্যাচগুলো।  

নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত সারা বলেন, ‘ক্রিকেট আমাদের পরিবারের রক্তে মিশে আছে। ই-স্পোর্টস খুবই আকর্ষণীয়, আর গ্লোবাল ই-ক্রিকেট প্রিমিয়ার লিগে মুম্বাইয়ের দলের মালিক হতে পারা আমার জন্য স্বপ্নপূরণের মতো। আমি নতুন প্রতিভাদের সঙ্গে কাজ করতে এবং একটি শক্তিশালী দল গড়ে তুলতে চাই। আশা করি, আরও অনেকেই এই খেলায় আগ্রহী হবে।’ 

টেন্ডুলকার পরিবারের সদস্যরা বরাবরই ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। শচীন এখনও লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন এবং আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টরের ভূমিকা পালন করছেন। সারার ভাই অর্জুন টেন্ডুলকারও পেশাদার ক্রিকেটার, যিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন গোয়ার হয়ে। এবার পরিবারের আরও একজন ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হলেন নতুনভাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স প র টস

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ